কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতে বি-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় এক মেয়ে পরীক্ষার্থীর প্রবেশপত্রে নাম ও ছবি দেখা গেলেও কিউআর কোড স্ক্যান করলে এক ছেলে পরীক্ষার্থীর তথ্য প্রদর্শিত হচ্ছে।
শুধু তাই নয়, প্রবেশপত্রে কেন্দ্র হিসেবে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় উল্লেখ থাকলেও পাশে লেখা ছিল ঢাকা অর্থাৎ ‘কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা’। পাশাপাশি, পরীক্ষার কেন্দ্রের ভবনে এমন এক ভবনের নাম উল্লেখ ছিল যার অস্তিত্বই নেই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে।
রবিবার (২৪ অক্টোবর) সকালে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা দিতে গিয়ে ওই পরীক্ষার্থী স্বেচ্ছাসেবীদের কাছে কেন্দ্রের তথ্য জানতে চাইলে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।
প্রবেশপত্রটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, ৫২০১০০ রোলধারী ওই শিক্ষার্থীর প্রবেশপত্রে ‘নিউ একাডেমিক বিল্ডিং (৭ম তলা), কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা’ কেন্দ্র লেখা রয়েছে। পরীক্ষার হল খুঁজে না পেয়ে পরীক্ষার্থী স্বেচ্ছাসেবীদের বিষয়টি জানালে কেন্দ্রের সিট প্ল্যানে ওই রোল নম্বর খুঁজে পাননি তারা।
পরবর্তী সময়ে, তার প্রবেশপত্রে থাকা কিউআর কোড স্ক্যান করা হলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে সিট পড়েছে এমন এক শিক্ষার্থী অনিক আকন্দের তথ্য প্রদর্শিত হয়। এ ছাড়া, প্রবেশপত্রে কেন্দ্র হিসেবে কুমিল্লা ‘ল’ বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের ইংরেজি বানানেও ভুল দেখা যায়।
পরে স্বেচ্ছাসেবীরা বিষয়টি বি-ইউনিটের আহ্বায়ক কমিটিকে জানালে ওই শিক্ষার্থীকে আলাদাভাবে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়।
পরীক্ষার্থী সোনিয়া আক্তার শিলা বলেন, এ রকম কেন হলো আমি জানি না। আমি ঢাকা থেকে এসেছি এবং প্রবেশপত্রটি দোকান থেকে প্রিন্ট করিয়েছি।
এ বিষয়ে গুচ্ছ পদ্ধতির কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রের বি-ইউনিটের আহ্বায়ক ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. এম এম শরীফুল করিম বলেন, আমরা ওই শিক্ষার্থীকে কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে রিপোর্টেড করেছি। আপাতত তাকে আলাদাভাবে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দিয়েছি। তার খাতা আলাদা খামে কেন্দ্রের কাছে পাঠানো হবে। পরবর্তীতে তারা যে সিদ্ধান্ত দেয়, তাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বলে গণ্য হবে।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও গুচ্ছ পদ্ধতির কেন্দ্রীয় পরীক্ষা কমিটির সদস্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী এ বিষয়ে বলেন, আমরা কেন্দ্রীয় কমিটিকে বিষয়টি জানিয়েছি। ওই শিক্ষার্থীর খাতা আলাদাভাবে পাঠানো হবে। তারা সবকিছু দেখবে।
গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব ও জবি রেজিস্ট্রার মো. ওহিদুজ্জামান বলেন, বিষয়টি আমরা জানি। লিখিত অভিযোগ পেলে আমরা সরাসরি ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: