"গ্রন্থাগারে বই পড়ি, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ি" উপপাদ্যকে সামনে রেখে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবিপ্রবি) জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারী) সকাল সাড়ে ৯ ঘটিকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে একটি র্যালি বের করা হয়।
র্যালিটি বিশ্বিবদ্যালয়ের প্রশাসিক ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ও তথ্যকেন্দ্র গিয়ে শেষ হয়।র্যালি শেষে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ও তথ্যকেন্দ্র এর সামনে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন,উপ-উপচার্য ড. এস এম মোস্তফা কামাল খান, কোষাধ্যক্ষ ড. কে এম সালাহ উদ্দীন,রেজিস্ট্রার বিজন কুমার ব্রহ্ম,লাইব্রেরীয়ান মো: হাফিজুর রহমান মোল্লা।এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন অনুষদের ডিন,বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষক,কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা।
লাইব্রেরীয়ান মো: হাফিজুর রহমান মোল্লার সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন।এসময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন বলেন,"লাইব্রেরি হলো জ্ঞানের আধার।তিনি আরও বলেন শুধু গ্রন্থাগার দিবসেই গ্রন্থাগার গুরুত্বপূর্ণ নয় বরং জীবনের প্রতিটি মুহূর্তেই গ্রন্থাগারের গুরুত্ব রয়েছে"।
উপ-উপচার্য ড. এস এম মোস্তফা কামাল খান বলেন," শুধু মেশিনারি স্মার্ট হলে হবে না,পাঠকদেরও স্মার্ট হতে হবে।তিনি আরও বলেন জীবন সংগ্রামে টিকে থাকতে হলে শুধু একটি সাবজেক্ট নিয়ে পড়ে থাকলে হবে না,সব বিষয়েই জ্ঞানী হতে হবে এজন্য গ্রন্থাগারের গুরুত্ব অপরিসীম।
কোষাধ্যক্ষ ড. কে এম সালাহ উদ্দীন বলেন,"জাতীয় জীবনে বই পড়ার গুরুত্ব অপরিসীম। শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হলে শুধু পাঠ্যপুস্তক বই পড়লে হবে না,নিজেকে স্মার্ট হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।আর এক্ষেত্রে গ্রন্থাগার হলো একটি উপযুক্ত জায়গা।
উল্লেখ্য, সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ও তথ্যকেন্দ্র এর পাশে বৃক্ষ রোপনের মাধ্যমে দিবসটির সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: