ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) নবীন শিক্ষার্থীকে র্যাগিং ও চিকিৎসা কেন্দ্রে ভাঙচুরের ঘটনায় পাঁচ শিক্ষার্থীকে সাময়িক ও এক শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে।
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ. এম আলী হাসান এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ছাত্রশৃঙ্খলা কমিটির সুপারিশক্রমে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি মোতাবেক তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের এক নবীন শিক্ষার্থীকে র্যাগিংয়ের অভিযোগে একই বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের মিজানুর রহমান ইমন, শাহরিয়ায় হাসান, হিশাম নাজির শুভ, সাদমান সাকিব আকিব ও শেখ সালাহ উদ্দিন সাকিবকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। একইসাথে, চিকিৎসা কেন্দ্রে ভাঙচুরের ঘটনায় আইন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রেজওয়ান সিদ্দিকী কাব্যকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে।
গত ৯ সেপ্টেম্বর হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২২-২৩ সেশনের এক নবীন শিক্ষার্থী তারই বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ৫ ছাত্রের বিরুদ্ধে লিখিতভাবে র্যাগিংয়ের অভিযোগ করেন। পরদিন ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলামকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রশাসন। তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ওই পাঁচজনকে প্রথম বর্ষের ২য় সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার করেছে কর্তৃপক্ষ।
এছাড়া, গত বছরের ১০ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। পরে মেডিকেল কর্তৃপক্ষের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওই বছরের ১৫ জুলাই কাব্যকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করে ছাত্র-উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরিনকে আহ্বায়ক করে গঠিত তদন্ত কমিটি। গত ৫ নভেম্বর তদন্ত কমিটি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকলেও উপস্থিত হননি কাব্য। পরে ১৯ ডিসেম্বর ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির ১২তম সভায় তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়।
উল্লেখ্য, এর আগে ২১ আগস্ট ২০২৩ দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ফুলপরী খাতুনকে রাতভর নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত শাখা ছাত্রলীগ নেত্রী অন্তরা ও তার চার সহযোগীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়।
এই বিভাগের অন্যান্য খবর
জনপ্রিয় খবর
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: