কুরিয়ার সেবার মূল্যবান সামগ্রী কুড়িয়ে পাওয়ার পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) সৈয়দ আমীর আলী হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মারুফের মধ্যস্থতায় মালামাল ডেলিভারির দায়িত্বে থাকা ব্যক্তির কাছে হস্তান্তর করা হয়। শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১০টায় তিনি এ মালামাল হস্তান্তর করেন।
ডেলিভারির দ্বায়িত্বে থাকা ব্যক্তির নাম রবিন আলী। তিনি পাঠাও কুরিয়ার সেবার রাজশাহী শাখায় কাজ করেন। অন্যদিকে মধ্যস্থতাকারী আব্দুল্লাহ আল মারুফ রাবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী এবং সৈয়দ আমীর আলী হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। এ সময় মালিককে খুঁজে বের করতে সহায়তা করেন রাবি আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ও আমির আলী হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রাকিব। হারিয়ে যাওয়া পার্সেলটি পেয়েছিলেন আরবি বিভাগের আব্দুল্লাহ বিন মাহফুজ নামের এক শিক্ষার্থী।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শুক্রবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ্ মখদুম হলের পশ্চিম পাশে কুরিয়ারে পাঠানো একটি পার্সেল পড়ে থাকতে দেখেন মাহফুজ নামের এক শিক্ষার্থী। তিনি সে সময় ওই রাস্তা দিয়ে কাজলার যাচ্ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মারুফকে ফোন দিয়ে বিষয়টি জানান। এরপর আবদুল্লাহ আল মারুফ বিভিন্ন মাধ্যমে পার্সেলের মালিককে খুঁজতে থাকেন এবং রাতে তার দেখা পান।
ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে আব্দুলাহ আল মারুফ জানান তার ফোনে সন্ধ্যার পরে ফোনে অপরিচিত একটি নম্বর থেকে কল আসে। কলটি রিসিভ করলে রবিন নামে এক ব্যক্তি সাহায্য চেয়ে বলে সে কুরিয়ারে কাজ করে। কুরিয়ারের মাল ডেলিভারি করার সময় তার কাছ থেকে পার্সেলের একটি বস্তা হারিয়ে যায়।
ছাত্রলীগের এই নেতা আরো বলেন, ওই ঘটনার কিছু সময় পর মাহফুজ নামে এক শিক্ষার্থী তার কাছে কল দিয়ে জানায় সে পার্সেল করা কুরিয়ারের একটি বস্তা পেয়েছে। বিষয়টি তিনি বুঝতে পেরে রবিন এবং মাহফুজ দু'জনকে ফোনে ডেকে পাঠান। পরে উভয়ের সাথে কথা বলে ঘটনার সত্যতা যাচাই করে ওই ডেলিভারি বয়ের কাছে বস্তাটি হস্তান্তর করেন।
কুরিয়ারে কাজ করা রবিন আলী বলেন, ‘প্রতিটি মানুষের ভালো এবং খারাপ দিক দুটোই আছে। ছাত্রলীগের নামে অনেক বদনাম শুনেছি। তবে আজ মনে হলো ছাত্রলীগের কর্মীরা আসলেই খুব ভালো ও পরোপকারী। আমি পার্সেল সামগ্রী ডেলিভারি করার উদ্দেশ্য ক্যাম্পাসে প্রবেশ করি। বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ্ মখদুম হলে একটি পার্সেল ডেলিভারি করে মাদার বখস্ হলের সামনের রাস্তা ধরে চারুকলায় যাচ্ছিলাম। এ সময় হঠাৎ লক্ষ্য করি প্যাকেট করা ডেলিভারি সামগ্রীর একটি বস্তা আমার কাছে নেই’।
তিনি আরো বলেন, তখন আমি পুনরায় ফিরে এসে আমীর আলী হলের সাধারণ সম্পাদক সহ অনেকের কাছে ফোন করে বিষয়টি জানাই। একপর্যায়ে রাত সাড়ে ১০টায় আব্দুল্লাহ আল মারুফ তাকে ফোন দিয়ে বলেন পার্সেলের বস্তাটি উদ্ধার করা হয়েছে। পরে আমি হলে গিয়ে পার্সেলের বস্তাটি নিয়ে আসি’।
পার্সেলের বস্তাটি উদ্ধার করা আব্দুল্লাহ বিন মাহফুজ জানান, বিকেলের দিকে কাজের উদ্দেশ্য হল থেকে বেড় হয়েছিলেন। পথে হেঁটে যাওয়ার সময় শাহ মখদুম হলের পশ্চিম পাশে একটি বড় বস্তা লক্ষ্য করেন। কাছে গিয়ে দেখে বুঝতে পারেন ওটা কুরিয়ারের বস্তা। বিষয়টি সম্পর্কে সৈয়দ আমীর আলী হলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মারুফকে অবগত করলে তিনি খোঁজ খবর নিয়ে ওই ডেলিভারি ব্যক্তিকে ডেকে পাঠান। পরে উভয়ের সাৎক্ষাতে আব্দুল্লাহ আল মারুফের মধ্যস্ততায় মালামালের বস্তাটি কুরিয়ারের ব্যক্তির কাছে হস্তান্তর করা হয়।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: