পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) ইংরেজি বিভাগের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন সেই বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বেলা পৌনে ১২ টায় বিভাগের প্রায় দু'শ শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে শিক্ষার্থীদের এ মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা প্রকাশিত সংবাদটিকে ষড়যন্ত্রমূলক ও বানোয়াট হিসেবে উল্লেখ করে বলেন,সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত সংবাদ করা হয়েছে স্যারের নামে। একটি কুচক্রী মহল স্যারের সম্মান হানি করার জন্য এই ধরনের মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করেছে।
এই বিষয়ে ইংরেজি বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের(বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩তম ব্যাচ) শিক্ষার্থী ফাতেমাতুল জান্নাত বলেন, " যে ব্যাচ থেকে অভিযোগটি এসেছে আমি সেই ব্যাচেরই একজন শিক্ষার্থী। আমাদের ব্যাচে মোট ৫০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৩৯ জনই মেয়ে শিক্ষার্থী এবং এই ৩৯ জনের মধ্যে ৩৭ জনই বোরকা পরিহিত অবস্থায় ক্লাস করি। পত্রিকায় যে কথাটা বলা হয়েছে যে, বোরকা-নামাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য নয়; এরকম কোনো কথা তিনি কখনোই আমাদের বলেন নি। এরকম কিছু হলে আমরা গত ৪ মাস যাবৎ বোরকা পড়ে ক্লাস করতে পারতাম না। উনি এমনভাবে ক্লাস নেন যে, সেই টপিকের পড়া আমাদের কখনোই বাসায় গিয়ে পড়তে হয় না।"
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী(বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯ম ব্যাচ) সোহানুর রহমান বলেন, " দৈনিক নয়া দিগন্তে প্রকাশিত সংবাদটি সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক একটি সংবাদ। আমাদের ক্লাস চলাকালীন সময়ে আযান হলে তিনি লেকচার থামিয়ে দেন; কতটা ধর্মভীরু হলে স্যার এটা করতে পারেন আমরা সবাই বুজতে পারছি। এটি সম্পূর্ণ একটি বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত সংবাদ এবং আমরা সকলে এই মিথ্যা সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।"
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ইংরেজি বিভাগের চেয়ারম্যান মো. রওশন ইয়াজদানি বলেন, "আমার নামে যে সংবাদটি প্রকাশিত হয়েছে সেটা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রণোদিত। সংবাদের মধ্যে আমার যে চারটি বক্তব্য ব্যবহার করা হয়েছে তারমধ্যে একটি বক্তব্য সঠিকভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, বাকি তিনটি বক্তব্যকে মিসকোট করা হয়েছে।"
উল্লেখ্য, গত ২৫ সেপ্টেম্বর(রবিবার) দৈনিক নয়া দিগন্ত পত্রিকায় " ইংরেজি বিভাগে শিক্ষক মো. রওশন ইয়াজদানি কে নিয়ে "বোরকা-নামাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য নয়: পিইএসটি শিক্ষক" এই শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয় এবং সেটি নিয়ে পুরো ক্যাম্পাসে সরব অবস্থা বিরাজমান।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: