ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল ছাত্রলীগ ইউনিটের পূর্ণাঙ্গ কমিটির লক্ষ্যে পদ প্রত্যাশীদের থেকে জীবনবৃত্তান্ত আহ্বান করেছে কয়েকটি হল। গত শনিবার ও রবিবার বিজয় একাত্তর হল মিলনায়তনে বিজয় একাত্তর হল ছাত্রলীগের সভাপতি সজীবুর রহমান সজীব এবং সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ আবু ইউনুস এক আনন্দঘন পরিবেশে পদপ্রত্যাশীদের জীবনবৃত্তান্ত গ্রহণ করেছে। সর্বমোট ৩০৬ জন পদপ্রত্যাশীর জীবনবৃত্তান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
বিজয় একাত্তর হল ছাত্রলীগের সভাপতি সজীবুর রহমান সজীব বলেন, ‘প্রতিটি সংগঠনের প্রাণ হলো ত্যাগী, পরিশ্রমী, বিচক্ষণ ও দূরদর্শী কর্মী যারা আদর্শিক স্বার্থে তারা আপোষহীন। আমরা দীর্ঘ সময় পর হল কমিটি পূর্ণাঙ্গের জন্য জীবনবৃত্তান্ত আহ্বান করেছি। হলের কর্মীরা আনন্দঘন পরিবেশে জীবন বৃত্তান্ত জমা দিয়েছে এবং সংগঠনের নিকট তাদের প্রত্যাশা ও তাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কেমন সেটা মঞ্চের ডায়াচে তাদের বক্তব্যের মাধ্যমে তুলে ধরেছে। আসছে পূর্ণাঙ্গ হল কমিটিতে পরিশ্রমী, ত্যাগী, আদর্শিক ভাবে আপোষহীন কর্মীদের মূল্যায়ন করা হবে। আগামী জাতীয় নির্বাচন উপযোগী পূর্ণাঙ্গ হল কমিটি প্রদান করতে চাই।"
হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ আবু ইউনুস বলেন, ‘আমরা একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় উদ্ভাবনী শক্তিকে কাজে লাগিয়ে দেশ ও দশের জন্য কল্যাণমূলক নেতৃত্বে ভূমিকা রাখতে পারে এমন মেধাবী ও সাংগঠনিক যোগ্যতা সম্পন্ন নিয়মিত শিক্ষার্থীদের পদায়িত করবো। আমরা মনে করি তারা দূরদর্শিতা, বিচক্ষণতা এবং সততার সাথে সংগঠনের ভাবমূর্তি অনন্য পর্যায়ে নিয়ে যাবে। ’
সর্বশেষ ২০১৬ সালের ১৩ ডিসেম্বর ১৮টি হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করেন তৎকালীন ছাত্রলীগ নেতৃত্ব। ২০১৭ সালের ১৭ নভেম্বর হল কমিটিগুলো পূর্ণাঙ্গ করা হয়। ২০১৮ সালের ২৯ এপ্রিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সম্মেলন হলে এই কমিটিগুলো ভেঙে যায়।
অপেক্ষার প্রহর শেষে ২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখে হল ইউনিটগুলোতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম উল্লেখ করে আংশিক কমিটি প্রকাশ করা হয়। নতুন কমিটি দায়িত্ব পাওয়ার সাত মাস পর পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের জন্য জীবনবৃত্তান্ত আহ্বান করা হয়েছে।
পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে কর্মীদের প্রত্যাশা কেমন জানতে চাইলে হল ছাত্রলীগ কর্মী মোল্লা আবু শামীম বলেন, 'বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে সম্মানজনক অবস্থানে তুলে ধরতে আমাদের আগামীর চ্যালেঞ্জ চতুর্থ শিল্প বিপ্লব উপযোগী নেতৃত্ব তৈরী করা। নিপীড়িত মানুষের পক্ষে যুগে যুগে লড়ে যাওয়া দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের আগামীর নেতৃত্ব কেমন হবে সেটা সম্পর্কে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে স্পষ্টত বলেছেন যে তোমাদের উদ্ভাবনী শক্তিকে কাজে লাগিয়ে ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের সাথে তাল মেলাতে নিজেদের দক্ষভাবে গড়ে তুলতে হবে। সে প্রেক্ষিতে আমাদের প্রত্যাশা যুগের সাথে তাল মিলিয়ে সংগঠনের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবে এমন মেধাবী, বিচক্ষণ ও পরিশ্রমী কর্মীদের যথাযথ মূল্যায়ন করা হবে। স্বাধীনতা বিরোধী, মাদকাসক্ত এবং বিতর্কমুক্ত কর্মীদের পদায়ন করা হবে বলেই আমরা আশাবাদী।'
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: