জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় তিন লাখ টাকার বিনিময়ে প্রক্সি দিয়ে মেধাতালিকায় দশম হয়ে ভর্তি হতে এসে আটক হয়েছে এক ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী।
মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) সমাজবিজ্ঞান অনুষদভুক্ত আইন ও বিচার বিভাগে ভর্তির সময় তার লেখা ও স্বাক্ষরের মিল না পাওয়ায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখার নিকট হস্তান্তর করা হয় তাকে।
ওই শিক্ষার্থীর নাম মিনহাজুল আবেদীন আল আমিন (১৯)। তার বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়া থানার গৌড়ীপুর গ্রামে। তার বাবার নাম আব্দুল লতিফ। সে আল হেরা একাডেমি থেকে এসএসসি এবং ময়মনসিংহ সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখার প্রধান সুদীপ্ত শাহিন জানান, ‘তার হাতের লেখায় মিল না থাকায় আইন অনুষদের সভাপতি তাকে আটক করে এবং নিরাপত্তা শাখায় হস্তান্তর করে। পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অস্বীকার করলেও পরবর্তীতে অন্যের মাধ্যমে পরীক্ষা দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে সে। তাকে ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির নিয়মিত মামলায় আশুলিয়া থানায় পাঠানো হবে।’
প্রক্সির বিষয়টি স্বীকার করে মিনহাজুল জানান, ‘ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া ডিগ্রি কলেজ পড়ুয়া শাহিনুর নামে আমার এক মামা প্রক্সির মাধ্যমে পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেন। এর বিনিময়ে তাকে ৩ লাখ টাকা দেওয়া হয়। তবে পরীক্ষা কে দিয়েছে সেটা জানি না। মেধাতালিকায় দশম স্থান আসে। পরে ওই মামা আমাকে কয়েকটা বাক্য লেখার চর্চা করতে বলেন। ওই হাতের লেখা চর্চা করে ভাইভায় অংশ নিয়েছিলাম।’
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: