বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হলের অফিস রুমের পাশে একটি গর্ত থেকে বিষধর সাপ উদ্ধার করা হয়েছে।
জানা যায় আজ সকালের দিকে যখন হলের দেয়াল ঘেঁষে উঠেছিলো তখন একজন কর্মচারী দেখতে পায়। পরে শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে যায়। দুপুরে ৩ টায় সাপুড়েকে খবর দিলে তারা দীর্ঘক্ষণ চেষ্টা করে সাপটিকে উদ্ধার করে, ধরে নিয়ে যায়। সাপের পাশাপাশি এসময় এক ডজন সাপের ডিম ও উদ্ধার করা হয়৷
উদ্ধারকৃত সাপটি কেউটে বা কালকেউটে যেটা বাংলাদেশে খুবই পরিচিত সাপ। বাংলাদেশে যে কয়টি সাপের ছোবলে মানুষের মৃত্যু সবচেয়ে বেশি হয়, এটি তার অন্যতম। কারণ এ সাপের দংশন হলে অনেক সময়ই সাথে সাথে বোঝা যায় না।
এই সাপের বৈজ্ঞানিক নাম কমন ক্রেইট, মূলত ইলাপিডি গোত্রের বিষাক্ত সাপ। অঞ্চলভেদে আরো কিছু নাম রয়েছে, বরিশালে কালাঞ্জিরি, চট্টগ্রামে হানাস, উত্তরবঙ্গে জাতিসাপ নামেও ডাকা হয় এ সাপকে।
শিক্ষার্থীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রচুর ঝোপ-ঝাড় হয়ে আছে। চারপাশে অপরিচ্ছন্নতা হয়ে আছে। যেগুলোর কারণে বিষাক্ত পোকামাকড়ের উপদ্রব বেড়ে গেছে। এমনকি কয়েকদিন আগে মেছো বাঘের দেখা মিলে। ক্যাম্পাস অগোছালো ক্যাম্পাসে পরিণত হয়ে আছে। আমরা এখন আতঙ্কে আছি। কারণ বিষধর সাপ আরো থাকতে পারে। এগুলো অপসারণ ও পরিষ্কার করা জরুরি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে বিষাক্ত সাপের বিষ নিধনের জন্য কোন অ্যান্টিভেনমবা ভ্যাকসিন নাই৷
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. ছাদেকুল আরেফিন বলেন,ঘটনা জানার পরপরই হল প্রভোস্টদের সাথে কথা বলেছি৷ আগামীকাল থেকেই হলের আশে পাশে পরিষ্কার পরিছন্ন করার কাজ শুরু করা হবে৷ অ্যান্টিভেনম ব্যাবস্থা করার বিষয়ে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল অ্যান্টিভেনম রাখার জন্য চিকিৎসকের সাথে কথা বলবো, দ্রুত যেন এটার ব্যবস্থা করে৷
এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু হলের প্রভোস্ট মো. আরিফ হোসেন বলেন, ঘটনাটি শুনেছি৷ এটা মাটির নিচে ছিল৷ সাধারণ গ্রামীণ পরিবেশে সাপ থাকবে না এর নিশ্চয়তা আমারা দিতে পারি না৷
উল্লেখ্য এর আগে গত ৬ ফেব্রুয়ারী বঙ্গবন্ধু হলের ছাদের সিড়িতে বিষধর সাপ পাওয়া যায়৷
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: