রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে পূর্বপরিচিত ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর জন্য হোটেল খুঁজতে গিয়ে নগরীর লক্ষীপুর মোড়ের অদূরে আলীগঞ্জ পশ্চিমপাড়ায় মারধরের শিকার হয়েছেন এক রাবি শিক্ষার্থী। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম দুলাল চন্দ্র। তিনি রাবির দর্শন বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী।
ভুক্তভোগীর বরাত দিয়ে কুড়িগ্রাম জেলা সমিতির সাবেক সভাপতি হুমায়ুন আহমেদ বলেন, ‘দুলালের বাসা কুড়িগ্রামে হওয়ায় সে আমার পূর্ব পরিচিত। সে আজ কয়েকজন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর জন্য লক্ষীপুর মোড়ে আবাসিক হোটেল খুঁজতে গিয়েছিল। তখন কয়েকজনের সাথে পরিচয় হয়েছে৷ তারা বলছে আমাদের হোটেল আছে। সেখানে চলেন হোটেলের ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। তখন সে রিকশায় উঠে তাদের সাথে গিয়েছে। এরপর তারা জোড় করে লক্ষীপুরের পাশেই আলীগঞ্জ পশ্চিমপাড়ায় রিকশা নিয়ে গেছে এবং তাকে ব্যাপক মাইরধোর করে ফোন টাকা পয়সা সব রেখে দেয়। একপর্যায়ে সে সেন্সলেস হয়ে যায়। এলাকাবাসী উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে রিকশায় তুলে দেয়। এরপর সে আমার হলে আসে এবং আবার সেন্সলেস হয়ে যায়৷ এরপর তাকে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেলে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রামেকে নিয়ে যেতে বলে। আমরা এখন তাকে রামেকে নিয়ে যাচ্ছি’।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেলের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার সলীল সমাদ্দার বলেন, ‘তাকে মাথার পিছনে মারা হয়েছে এবং হাতের কব্জিতে ব্লেডের আঘাত রয়েছে। মাথার পিছনে মারের আঘাত দেখে মনে হয়েছে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ হয়েছে এবং সে কারণে ফুলে আছে। মাথার আঘাতের কারণে সে সেন্সলেস হয়ে গেছে। মেক্সিমাম ইঞ্জুরি হয়েছে মাথার ভিতর সাইডে। যারা চিকিৎসা এই মুহুর্তে এখানে করা সম্ভব না বলে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেলে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে’।
এই বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর আসাবুল হকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,'আমি বিষয়টি জেনেছি। আগে ভূক্তভোগী শিক্ষার্থীর চিকিৎসাটা জুরুরি। তারপর কারা এমন করেছে,কি কারণে করেছে তা বের করা হবে।'
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: