রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আবাসিক হলে সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনার এক মাস হলেও আলোর মুখ দেখেনি তদন্ত প্রতিবেদন। তিন সদস্যের তদন্ত কমিটিকে ৭২ ঘন্টার মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হলেও প্রতিবেদন জমা দেয়নি কমিটির সদস্যরা। এদিকে কমিটির বিরুদ্ধে অভিযুক্তদের বাঁচানোর চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
প্রতিবেদন জমা না হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মাদার বখশ হলের প্রাধ্যক্ষ ড. শামীম হোসেন।
বিশ্ববিদ্যালয় ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, গত ২৯ মে মাদার বখ্শ হলে বিডি মর্নিংয়ের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি শাহাবুদ্দিন ইসলামকে লাঞ্ছিত করে ছাত্রলীগ নেতা গিয়াসউদ্দিন কাজল। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়ার অনুসারী। ওই ঘটনার পর কাজলকে বহিষ্কারের দাবি জানিয়ে আসছে ক্যাম্পাসে কর্মরত সাংদিকরা। এ সময় তারা হল প্রভোস্ট ড. শামীম হোসেনের দায়িত্ব অবহেলার জন্য তার পদত্যাগ দাবি করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ৩০ মে ছাত্রলীগের কাজলকে হল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয় এবং ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়।
তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন- মাদার বখ্শ হলের আবাসিক শিক্ষক আহ্বায়ক ড. আমিরুল ইসলাম, ড. মেসবাউস সালেহীন ও ড. আলী আহম্মদ সৈয়দ মোস্তফা জাহিদ।
হল প্রাধ্যক্ষ ড. মো. শামীম হোসেন জানান, তদন্ত কমিটি এখন অবধি প্রতিবেদন জমা দেয়নি। তবে কী কারণে তারা বিলম্ব করছে তা তিনি জানেন না। ফলে এ ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
তিনি তদন্ত কমিটির কাছে বিলম্বের কারণ জানতে চেয়েছেন কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের কেউ কি কারো কাছে জবাবদিহি করে?’
তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বিলম্বের কারণ জানতে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক আমিরুল ইসলামকে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি’র সভাপতি নুরুজ্জামান খান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অতি দ্রুত তদন্তের প্রতিবেদন জমা দিতে বলার পরও কমিটি দিতে পারেনি। কমিটির গড়িমসি স্পষ্টভাবে জানান দিচ্ছে তদন্ত কমিটি অভিযুক্তদের কৌশলে বাঁচার চেষ্টা করছে। অতি দ্রুত সুষ্ঠু প্রতিবেদন জমা দেওয়ার আহ্বান করছি।’
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: