পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের পেশাগত বৈষম্য দূরীকরণ ও কর্মকর্তা নিয়োগসহ ১২দফা দাবিতে বাংলাদেশ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স ফেডারেশনের ডাকা কর্মসূচির অংশ হিসেবে মানববন্ধন করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) অফিসারবৃন্দ।
রোববার (১৯ জুন) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে আয়োজিত এক মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে তাঁরা এসব দাবি জানান।
কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-গ্রন্থাগারিক ড. গোলাম মোস্তফা এবং সঞ্চালনা করেন জনসংযোগ দপ্তরের উপ-রেজিস্টার মো. শহীদুল্লাহ। কর্মসূচিতে রাবির প্রায় দেড়শতাধিক অফিসার অংশগ্রহণ করেন। এতে তারা ১২ দফা দাবি জানান।
দাবিগুলো হলো- কর্মকর্তাদের অবসরের বয়সসীমা ৬৫ বছরে উন্নীতকরণ, ৩য় গ্রেড পর্যন্ত পদোন্নয়ন সুবিধা, কর্মকর্তা হিসেবে ৪ বার পদোন্নয়ন সুবিধা প্রদান, পদ অনুসারে গ্রেড উন্নয়ন, কর্মকর্তাদের নিয়োগ, পদোন্নতি ও পদ্দোন্নয়ন সংক্রান্ত কমিটিতে কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে অন্তর্ভুক্ত, সকল দপ্তরের নন টিচিং পদে কর্মকর্তাদের নিয়োগ বাধ্যতামূলককরণ, শিক্ষাছুটির মেয়াদ এবং সক্রিয় চাকরিকাল সংক্রান্ত বিষয় নির্দেশিকায় উল্লেখকরণ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে শিথিলকরণ, পদোন্নয়নের ক্ষেত্রে আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রচলিত নিয়ম অনুসরণ করার সুযোগ, দ্বিতীয় গ্রেডধারী কর্মকর্তাদের মোট চাকুরিকাল ন্যূনতম ২২ বছর এবং যোগ্যতার ভিত্তিতে মোট দ্বিতীয় গ্রেডধারী কর্মকর্তার ২৫% কর্মকর্তার ১ম গ্রেড প্রদান, পদ অনুযায়ী সকল সুবিধা নিশ্চিতকরণ, সংশ্লিষ্ট বিষয়াবলী নিয়ে উদ্বুদ্ধ জটিলতা এড়ানোর স্বার্থে ফেডারেশন নেতৃবৃন্দের পুনরায় আলোচনা এবং খসড়া প্রদান করার ব্যবস্থা গ্রহণ।
কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, আমরা দাড়িয়েছি ১২ দফা দাবি আদায়ের জন্য। এখন প্রশ্ন হচ্ছে ১২ দফার যৌক্তিকতা কি? বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিদেশে যাওয়া, উচ্চ শিক্ষাসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা আাছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের সম্মান মানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান। প্রাইমারী শিক্ষকদের তৃতীয় গ্রেডে পর্যন্ত পদন্নোতি হয় কিন্তু আমাদের পঞ্চম গ্রেড পর্যন্ত পদন্নোতি দেওয়া হয়। আমরাও তৃতীয় গ্রেড পর্যন্ত পদন্নোতি চাই। আমরা আমাদের যৈক্তিক দাবি গুলোর যত দ্রুত সম্ভব বাস্তবায়ন চাই।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: