রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক আবাসিক শিক্ষার্থীর বিছানাপত্র সিট থেকে নামিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে হল ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (১৪ জুন) রাত সাড়ে ১১টায় রাবির নবাব আব্দুল লতিফ হলে ২০৪ নম্বর রুমে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম সজিব কুমার। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ২০১৯-২০ বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি লতিফ হলের ২০৪ নম্বর রুমের আবাসিক শিক্ষার্থী। অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতার নাম শামীম হোসেন। তিনি নবাব আব্দুল লতিফ হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক।
ভুক্তভোগী সজিব বলেন, আমার বাবা একজন হার্টের রোগী এবং আমার মা টেরিজিয়াম রোগে আক্রান্ত। এমতাবস্থায় আর্থিক সংকটে আমার লেখাপড়ার চালানো অসম্ভব হয়ে পড়ে। এর কারণে আমি গত চারমাস ধরে বিভাগের বড় ভাইয়ের সাথে ২০৪ নম্বর রুমে বেড শেয়ারিং করে থাকি। পরে মানবিক কারণে হলের সাবেক প্রাধ্যক্ষ আমাকে ওই সিট বরাদ্দ দেয়।
ভুক্তভোগী আরো বলেন, গত কয়েকদিন আগে হলের সাধারণ সম্পাদক শামীম হোসেন আমাকে ২০৪ নম্বর রুম ছেড়ে ৩৩২ নম্বর রুমে ডাবলিং করে থাকতে বলে। পরবর্তীতে গতকাল রাত ১১ টার দিকে শামীমের অনুসারীরা আমার রুমে এসে বিছানাপত্র নিচে ফেলে দেয়। পরে আমি রুমে এসে দেখি আমার সিটে দর্শন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের মামুন নামের এক শিক্ষার্থীকে তুলে দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগ সম্পর্কে জানতে নবাব আব্দুল লতিফ হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম হেসেনের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
এ প্রসঙ্গে হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক এ এইচ এম মাহবুবুর রহমান জানান, ‘সিট থেকে নামিয়ে দেয়ার অভিযোগ ভিত্তিহীন। এরকম কোন ঘটনা ঘটেনি। ওই ছেলে ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী। প্রশাসন থেকে নিষেধ আছে জুনিয়রদের সিট বরাদ্দ দেয়া। আগের প্রধ্যাক্ষ তাকে মানবিক কারণে সিট বরাদ্দ দিয়ে গেছেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: