২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটকে স্বাগত জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ আনন্দ মিছিল ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিন থেকে আনন্দ মিছিল বের হয়ে ক্যাম্পাসের কলাভবন, শ্যাডোর পাশের রাস্তা প্রদক্ষিণ করে রাজু ভাস্কর্যে এসে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
সমাবেশে ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস বলেন, করোনা মহামারীর সকল ধরণের প্রতিকূলতা কাটিয়ে দেশের সবচেয়ে বড় বাজেট তৈরি করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাজেটে শিক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, স্বাস্থ্যখাত ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিকেও সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এটি নিঃসন্দেহে বড় অর্জন।
তিনি আরো বলেন, যখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সারা দেশে বিজ্ঞানভিত্তিক, গবেষণাভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন, সেই সময়ে নুরু গং ও ছাত্রদল ক্যাম্পাসে লাশ ফেলার ষড়যন্ত্র করছে। ২৫ জুন আমাদের বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অর্জন পদ্মা সেতুর উদ্বোধন হবে। সেই উদ্বোধনকে ঘিরে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি খালেদা জিয়ার মূর্খ ছাত্রদলসহ তথাকথিত সন্ত্রাসী বাহিনী সারা বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে লাশ ফেলার ষড়যন্ত্র করছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, করোনা মহামারিতে পৃথিবীর অনেক দেশ উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে। তখন সরকারের ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোট টাকার বাজেটেও দুই লাখ ৪৬ হাজার কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। বর্তমান সরকারের বাজেটে আগের বছরের চেয়ে নয় হাজার কোটি টাকা বৃদ্ধি করে ৮১ হাজার কোটি টাকার শিক্ষা বাজেট বাস্তবায়ন করার রূপকল্প প্রদান করা হয়েছে। এ শিক্ষা বাজেট ২০০৬ সালের বিএনপি-জামায়াতের মোট বাজেটের আকারের চেয়েও বেশি। এটি প্রমাণ করে দেয়, বর্তমান সরকার এই বাজেট এমনভাবে প্রণয়ন করেছে যাতে আমাদের কর্মসংস্থান সুনিশ্চিত করা সম্ভব হয়।
তিনি বলেন, গোটা পৃথিবীতে দ্রব্যমূল্য যখন বেড়ে গেছে, তখন আমাদের মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত, কৃষক-শ্রমিক, প্রান্তিক মানুষের আয় ক্ষমতার মধ্যে এ বাজেটের রূপকল্প তৈরি করা হয়েছে। এ জন্য বর্তমান সরকারের এ বাজেটকে আমরা শিক্ষার বাজেট, তরুণ প্রজন্মের বাজেট, কর্মসংস্থানের বাজেট অন্তর্ভুক্তিমূলক বাজেট, কৃষক-শ্রমিক ও মেহনতি মানুষের বাজেট বলে মনে করি।
সাদ্দাম হোসেন আরও বলেন, স্বপ্নের পদ্মা সেতু বাংলাদেশর সক্ষমতার প্রতীক ২৫ জুন এর উদ্বোধন করা হবে। এটিকে কেন্দ্র করে তরুণ প্রজন্ম আনন্দে উদ্বেলিত হয়েছে। বাংলাদেশের জনগণকে নতুন আশায় ঘর বুনতে শিখেছে এ পদ্মা সেতুর বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। বাংলাদেশ সরকারের পদ্মা সেতু উদ্বোধনের শুভক্ষণের ঘোষণাকে আমরা স্বাগত জানাই।
সমাবেশে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি সাইফ বাবু, মাজহারুল ইসলাম শামীম, শেখ সাগর আহমেদ, যুগ্ম সম্পাদক তাহসান আহমেদ রাসেল, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ ইনানসহ কেন্দ্রীয় সংসদের নেতৃবৃন্দ, বিশ্ববিদ্যালয়, আবাসিক হল ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: