হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের মাঝে বিরাজ করছে লিফট আতঙ্ক।
রবিবার (২৯ মে) দুপুর বারোটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. এম এ ওয়াজেদ ভবনের দুটি চলন্ত লিফট হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে গেলে লিফট দুটিতে আটকে পরে পাঁচ শিক্ষার্থী। এতে করে ঐ শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত হয়ে পরে। প্রায় পঁচিশ মিনিট আটকে থাকার পর লিফট দুটি পুনরায় রিস্টার্ট করার মাধ্যমে আবার সচল করা হয় এবং শিক্ষার্থীরা সুস্থভাবে বের হয়ে আসেন। শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন লিফট দুটিতে মাঝে মধ্যেই এমন নানা সমস্যা দেখা দেয়।
লিফটে আটকে পড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯ তম ব্যাচের ইংরেজী বিভাগের শিক্ষার্থী মাহফুজা পারভিন বলেন, 'ক্লাশ শেষে ওয়াজেদ ভবনের পাঁচ তলা থেকে নিচ তলায় নামতে আমরা লিফটে উঠি। আমাদের লিফটে মোট দুজন ছিলাম। লিফটটি পাঁচ তলা ও ৪র্থ তলার মাঝামাঝি এসে হঠাৎ করেই আটকে পড়ে এবং লিফটি আর কোনভাবেই কাজ করছিল না। সেসময় আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ি এবং ভয় হচ্ছিল লিফট যেন আবার ছিঁড়ে নিচতলায় পড়ে না যায়। আমরা লিফটে থাকা 'হেল্প বাটনে' ক্লিক করলে বাহিরে এলার্ম বেজে ওঠে এবং খোঁজ পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের উদ্ধারে এগিয়ে আসে"।
ভুক্তভোগী ঐ শিক্ষার্থী আরও জানান, 'আমরা লিফটে প্রায় ত্রিশ মিনিটের মতো আটকে ছিলাম। সেই সময় মনের মধ্যে অনেক ভয় কাজ করছিল। লিফট থেকে নেমে শুনতে পাই আমাদের পাশের লিফটটিও হঠাৎ করে অচল হয়ে পড়েছিল।'
প্রত্যক্ষদর্শী এক শিক্ষার্থী বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়ের লিফটে হঠাৎ করেই এমন সমস্যা দেখা দেওয়া আমাদের জন্য আতঙ্কের কারণ। আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ বিষয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।'
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মামুনুর রশীদ লিফট আটকে পড়ার বিষয়ে বলেন, 'ঘটনাটি দুঃখজনক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো লিফট আটকে পড়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। লিফট সিস্টেম 'হ্যাং' হবার কারণে সাময়িক সময়ের জন্য লিফট দুটি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'রিস্টার্ট দেয়ার মাধ্যমে পুনরায় লিফট দুটি কাজ করতে শুরু করে এবং এরপর তারা সুস্থভাবে বের হয়ে আসেন।
তিনি আরও বলেন, 'প্রতি দুই মাস পরপর লিফট দুটি সার্ভিসিং করা হয়। তারপরও কেন এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে তা খুঁজে বের করা হবে। আমি ইঞ্জিনিয়ারিং শাখার সাথে কথা বলব এবং এ বিষয়ে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করব।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: