রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিজেদের অসহায়ত্বকে প্রকাশ করে পরোক্ষভাবে ছাত্রলীগকে মদদ দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছে প্রগতিশীল ছাত্র জোট। বুধবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে প্রগতিশীল ছাত্র জোটের পক্ষে বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সংগঠক শাহরিয়ার খন্দকার আলিফ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলেন তারা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত মঙ্গলবার শের-ই-বাংলা হল থেকে এক আবাসিক শিক্ষার্থীকে ছাত্রলীগের হল শাখার সভাপতি জোরপূর্বক বের করে দেয়। এর আগে মতিহার হলে বাকপ্রতিবন্ধী আবাসিক শিক্ষার্থীর সঙ্গে একই ঘটনা ঘটে। বিভিন্ন হলে সিট বাণিজ্য ও দখলদারিত্ব ও শিক্ষার্থী নিপীড়নের খবর পাওয়া যায়। যার সঙ্গে স্পষ্টভাবে ছাত্রলীগ জড়িত। ভুক্তভোগী ও বিভিন্ন সংগঠন প্রশাসনকে অবহিত করলেও কার্যকর কোন পদক্ষেপ নেয়নি। বরং নিজেদের অসহায়ত্বকে প্রকাশ করে পরোক্ষভাবে ছাত্রলীগকে মদদ দিয়ে যাচ্ছে। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্মুক্ত গণতান্ত্রিক জ্ঞান চর্চার পরিবেশকে বাধা দিচ্ছে বলে তারা জানান।
এছাড়া বিজ্ঞপ্তিতে হল দখল ও সিট বাণিজ্য বন্ধ করা এবং জড়িতদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা, প্রতিটি হলের সিটের তালিকা প্রকাশ, হলের ডাইনিংয়ে খাবারের দাম কমিয়ে ভর্তুকি দিয়ে খাবারের মান বাড়ানো, ক্যাম্পাসে খাবারের দাম ও মান মনিটরিং করা এবং গণতান্ত্রিক ক্যাম্পাস নিশ্চিতে অবিলম্বে রাকসু নির্বাচন দেওয়ার দাবিও জানান তারা।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: