নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) পরিবেশ বিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের, পরিবেশ দূষণ ও ঝুঁকি মূল্যায়ন ল্যাব এবং প্রাণিবিদ্যা বিভাগের যৌথ আয়োজনে বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস-২০২২' উপলক্ষে 'রিকভারিং কি স্পেসিস ফর ইকোসিস্টেম রিস্টোরেশন' শীর্ষক এক ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (৪ মার্চ) রাতে ওয়েবিনারটি অনুষ্ঠিত হয়। করোনা মহামারির কারণে এটি অনলাইনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নোবিপ্রবি উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. দিদার-উল আলম। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টাই পারে বন্য প্রাণীর বাসস্থান নিশ্চিত করতে। আমাদের সকলের উচিৎ বন্যপ্রাণী আইন মানা। সেই সাথে এদের বাসস্থান নিশ্চিতে অবকাঠামো উন্নয়ন করা৷
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি বলেন, পরিবেশ উন্নয়নের পাশাপাশি আমাদের বন্যপ্রাণীর বাসস্থান নিশ্চিত করতে হবে৷ বিশিষ্ট এই বিজ্ঞানী দেশি বিদেশি আরো গবেষণার কথা উল্লেখ করেন তিনি।
এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, প্রফেসর ড. মো. ইউনুস মিয়া (প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর, স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ ), প্রফেসর ড. মো. ফারুক উদ্দিন (কোষাধ্যক্ষ, নোবিপ্রবি) ও প্রফেসর ড. মো. সিরাজুল ইসলাম (কোষাধ্যক্ষ, এমবিএসটিউ)।
নোবিপ্রবির উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আবদুল বাকী বলেন, বন্যপ্রাণী আমাদের পরিবেশের সাথে ওতোপ্রোতো জড়িত। আমাদের সবারই উচিত এদের সংরক্ষণে এগিয়ে আসা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রফেসর ড. মো. ফিরোজ জামান তার বক্তব্যে বলেন, বন্যপ্রাণী বাসস্থান হারাচ্ছে তবে আশার কথা হচ্ছে আমাদের দেশে একান্নটি নিরাপদ বাসস্থান যোগ্য স্থান রয়েছে বন্য প্রাণীর জন্য। নিরাপদ বাসস্থান সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে যার মাধ্যমে আমরা বন্যপ্রাণীর সঠিক বাসস্থান নিশ্চিত করতে পারব।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব এগ্রিকালচার ও মিনারেল সায়েন্সের ডিন ড. মোহাম্মদ রেদওয়ান তার বক্তব্যে বলেন, আমরা বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের নামে নানা প্রকল্প গ্রহণ করি কিন্তু হতাশার কথা নানা অনিয়মের কারণে আমরা প্রকল্পের সঠিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে পারিনা। যার কারণে বন্যপ্রাণীর নিরাপদ বাসস্থান নিশ্চিতে আমরা ব্যাহত হচ্ছে। তাই আমাদের সকলের উচিত যার যার স্থান থেকে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. হাবিবন নাহার। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ ২০টিরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
ওয়বিনারে দেশের বাইরে থেকে সিউল ন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্টারিও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গবেষক ও শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
ওয়েবিনারের মডারেটর ও পরিবেশ দূষণ ও ঝুঁকি মূল্যায়ন ল্যাবের পরিচালক সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আব্দুস সালাম বলেন, আমরা যেভাবে প্রতিনিয়ত পরিবেশের ক্ষতি সাধন করছি তাতে বন্যপ্রাণী তার সঠিক বাসস্থান হারিয়ে আজ হুমকির মুখে । বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ এবং এর সঠিক বাসস্থান নিশ্চিত করনে যে সকল পদক্ষেপ নিতে পারি, তা নিয়ে বিশদ আলোচনা করা হয়েছে এই ওয়েবিনারে । আশা করি এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আমরা সাধারণ মানুষদের সচেতনতা সহ বণ্যপ্রাণী সংরক্ষণে বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারব ভবিষ্যতে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: