রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সৈয়দ আমীর আলী হলের রিডিং রুমের পাশে বহিরাগতদের বিরুদ্ধে মাদকসেবনের পর উচ্চস্বরে আড্ডা দেওয়ার অভিযোগ হলের শিক্ষার্থীদের। এতে রিডিং রুমে পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটছে বলে জানান তারা।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত রিডিং রুমের পাশে বহিরাগতরা প্রায়ই বাইক নিয়ে আসে। সেখানে মাদক সেবন করার পাশাপাশি উচ্চস্বরে হৈচৈ, হাসি-তামাশা করে। এতে শিক্ষার্থীদের রিডিং রুমে পড়ার পরিবেশ বিঘ্নিত হয়। তাদের বেশ কয়েকবার নিষেধ করা হলেও তারা কর্ণপাত করেনি। উল্টো দুর্ব্যবহার করে এবং চিৎকার- চেঁচামেচির মাত্রা বাড়িয়ে দেয় বলে জানাই তারা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সৈয়দ আমীর আলী হলের দক্ষিণ-পূর্ব পাশে রিড়িং রুমের ঠিক নিচের ফাকা জায়গায় সেফ্টি-ট্যাংকের উপরে মাদক সেবনের বিভিন্ন সরঞ্জাম পড়ে আছে। সেখান থেকে একটু দূরে চার জন ছেলে বসে আড্ডা দিচ্ছিল। তারা কেউই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নন। তাদের বাসা বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী এলাকায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সৈয়দ আমীর আলী হলের প্রাধ্যক্ষ আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, এ বিষয়ে কোন শিক্ষার্থী আমাকে কোন অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেবো বলে জানান তিনি।
মাদকসেবনের বিষয়ে জানতে চাইলে সিন্ডিকেট সদস্য ও আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাদিকুল ইসলাম সাগর জানান, বাংলাদেশ সরকার মাদক সেবনের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্ৰহণ করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে বহিরাগত হোক কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেউ মাদকসেবন করলে তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ অনুযায়ী আইনত ব্যবস্হা আছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর মো লিয়াকত আলী বলেন, সৈয়দ আমীর আলী হলের আঙ্গিনায় বহিরাগতদের মাদকসেবনের স্থানে প্রক্টরিয়াল বডি গিয়েছিল। সেখানে আমরা কাউকে পাইনি।
প্রক্টর আরও বলেন, সাধারণত বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটা মেইন গেট দিয়ে বহিরাগতরা প্রবেশ করতে পারেনা। তারা অন্য গেট বা পথ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করে। বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন কনস্ট্রাকশনের কাজ চলছে, সেজন্য ঐভাবে বহিরাগত আটকানো যাচ্ছে না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মাদকসেবীদের বিরুদ্ধে প্রমাণ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে জানিয়েছেন তিনি।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: