ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরাইলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ১৭ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। নিহত এসব ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু। এছাড়া হামলায় আহত হয়েছেন আরও ৪৬ হাজার ফিলিস্তিনি।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় চলমান ইসরাইলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা বেড়ে ১৭ হাজার ১৭৭ জনে পৌঁছেছে বলে বৃহস্পতিবার অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কুদরা এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘নিহতদের মধ্যে প্রায় ৭০ শতাংশই শিশু ও নারী।’
তিনি বলেন, অবরুদ্ধ এই ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরাইলি হামলায় আরও ৪৬ হাজার মানুষ আহত হয়েছেন।
আশরাফ আল-কুদরা বলেছেন, ‘ইসরাইলি হামলায় কমপক্ষে ২৯০ জন চিকিৎসক নিহত হয়েছেন, ১০২টি অ্যাম্বুলেন্স ধ্বংস হয়ে গেছে এবং ১৬০টি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রকে হামলার লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। এছাড়া ২০টি হাসপাতাল এবং ৪৬টি প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যা কেন্দ্রকে পরিষেবা বন্ধ করতে বাধ্য করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘চলমান হামলা এবং যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতার কারণে আমরা ইসরাইলি হামলায় নিহত ব্যক্তি ও আহতের সংখ্যা গণনা করতে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছি।’
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরাইল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরাইলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।
মাঝে হামাসের সঙ্গে এক সপ্তাহব্যাপী মানবিক বিরতির পর গত শুক্রবার থেকে গাজা উপত্যকায় পুনরায় বিমান ও স্থল হামলা শুরু করে ইসরাইল। বিরতির পর শুরু হওয়া এই অভিযানে গাজায় হামলা আরও তীব্র করেছে দখলদার সেনারা।
এই পরিস্থিতিতে গাজায় ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরাইলি গণহত্যায় পশ্চিমারা সহায়তা করছে বলে অভিযোগ করেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। বৃহস্পতিবার মস্কোতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের শুরুতে এই অভিযোগ করেন তিনি।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: