মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ মুইজ্জু দায়িত্ব নেওয়ার পরই দেশটি থেকে ভারতীয় সেনা সরানোর কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, ‘মালদ্বীপে কোনো বিদেশি সামরিক বাহিনীর উপস্থিতি থাকবে না।’ বার্তা সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে খোদ ভারতীয় গণমাধ্যম এ খবর দিয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘যখন আমাদের সুরক্ষার বিষয়টি আসে, তখন আমি একটা লাল দাগ (রেডলাইন) কেটে দিতে চাই। অন্যান্য দেশের ক্ষেত্রেও যে লাল সীমানা থাকবে, সেটার সম্মান করবে মালদ্বীপ।’
প্রসঙ্গত, মালদ্বীপের নতুন প্রেসিডেন্ট মুইজ্জুকে চীনপন্থি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, ‘শনিবার (১৮ নভেম্বর) যখন প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ে ভারতের মন্ত্রী কিরণ রিজিজুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন প্রেসিডেন্ট, তখন আনুষ্ঠানিকভাবে সেই অনুরোধ (সেনা সরানোর) করেন।’ তবে কতদিনের মধ্যে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে, সেটা অবশ্য জানানো হয়নি।
মালদ্বীপের সাবেক প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিনের ঘনিষ্ঠ ছিলেন মুইজ্জু। আবদুল্লাহ মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট থাকার সময় চীনের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করার ওপর জোর দিয়েছিলেন। ২০১৩ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত দায়িত্বে ছিলেন তিনি। তার পর দেশটির প্রেসিডেন্ট হন ইব্রাহিম মুহাম্মদ সালিহ। তিনি ভারতপন্থি ছিলেন। তাকে হারিয়ে সম্প্রতি ক্ষমতায় এসেছেন মুইজ্জু
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আপাতত মালদ্বীপে ৭০ জনের মতো ভারতীয় জওয়ান আছে। যারা নজরদারি এয়ারক্রাফট এবং রাডারের সুরক্ষা প্রদান করে। সেই সঙ্গে মালদ্বীপের বিশেষ অর্থনৈতিক জোনে সুরক্ষার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ভারতীয় যুদ্ধাজাহাজ।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: