ওরা মুসলমানদের দুশমন। ওদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। ৭৫ বছর ধরে ইসরাইলি সন্ত্রাসী বাহিনী ফিলিস্তিনের মুসলমানদের উপর জুলুম অত্যাচার ও হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে। সাম্রাজ্যবাদী মার্কিনীরা ফিলিস্তিনের মুসলমানদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে বিশ্ব সন্ত্রাসী ইসরাইলকে প্রকাশ্য মদদ দিয়ে যাচ্ছে। বিশ্ব মুসলিম নেতৃবৃন্দকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সন্ত্রাসী ইসরাইলিদের প্রতিহত করতে হবে।
শুক্রবার (২০ অক্টোবর) বাদ জুমা ফিলিস্তিনি মুসলমানদের উপর ইসরায়েলি বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে এসব কথা বলেন বক্তারা।
বক্তারা আরো বলেন, সাম্রাজ্যবাদীদের অবৈধ সৃষ্ট রাষ্ট্র ইসরাইল ৭৫ বছর ব্যাপী ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী মানুষদের নির্মূল করতে গণহত্যা চালাচ্ছে। আমেরিকা, যুক্তরাজ্য ও পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলির সহায়তায় পৃথিবীর জঘন্যতম মানবতা বিরোধী অপরাধ চালিয়ে যাচ্ছে। মুসলিম বিশ্বের অনৈক্য ও বিলসী সরকারদের নিরবতায় ইসরাইলিদের এভাবে বেপোরোয়া করে তুলেছে।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী নব্য হিটলার নেতানিয়াহু প্রকাশ্যে বলেছে, গাজায় বসবাসকারী লক্ষ লক্ষ ফিলিস্তানীকে মাটির সাথে মিশিয়ে দিবে। অথচ এই দাজ্জালকে সমর্থন দিচ্ছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বাইডেন। নেতানিয়হুর সুরে সুর মিলিয়ে ফিলিস্তান জনগোষ্ঠীকে গণহত্যার ইন্দন যুগিয়েছে। যুদ্ধ জাহাজ, সৈন্য, যুদ্ধ বিমানসহ আধুনিক মরনাস্ত্র দিয়ে ইসরাইলকে সহযোগিতা করে আসছে।
ইরাক, লিবিয়া, সিরিয়া ধ্বংস করে আমেরিকা ও তার মিত্ররা বাংলাদেশের দিকে হাত বাড়িয়েছে। প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও তার প্রশাসনের মূখে, গণতন্ত্র, মানবতা ও সুষ্ঠ নির্বাচনের কথা শুনলে শয়তান ও হাসে। যতগুলি মুসলিম দেশের সর্বনাশ করেছে, প্রথমে ইসরাইলি এজেন্টের মাধ্যমে সর্বনাশের ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছে।
মোংলা উপজেলা ইমাম পরিষদের সভাপতি মাওলানা রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে সংক্ষিপ্ত এ সমাবেশে বক্তব্য দেন, মোংলা উপজেলা ইমাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আ: রহমান, বাজার জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাও: তৈয়বুর রহমান, চালনা বন্দর সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হাফে: মাও: রুহুল আমিন, উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন প্রমূখ।
এর আগে মোংলা উপজেলা ইমাম পরিষদের আয়োজনে বিভিন্ন থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে
শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শাপলা চত্বরের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে মোংলা উপজেলা ইমাম পরিষদ ইসরাইলি সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে তাদের দাবী তুলে ধরেন। দাবী গুলি হলো- ১। অনতিবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধ ঘোষনা করতে হবে। ২। সকল ইসরাইলী পন্য বর্জন করতে হবে। ৩। বাংলাদেশের সাথে ইসরাইলের সকল কুটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে। ৪। প্রয়োজন হলে বাংলাদেশ থেকে সৈন্য প্রেরন করে ফিলিস্তিনের পক্ষে যুদ্ধ করার পরিবেশ তৈরী করতে হবে। এবং ৫। বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে ফিলিস্তিনে খাদ্য, ঔষধ সহ সকল প্রকার প্রয়োজনীয় পন্য সরবরাহ করার ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে।
এই বিভাগের অন্যান্য খবর
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: