কলাপাড়ায় সিপিপি কর্মকর্তা ও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা

আল-আমিন, কলাপাড়া উপজেলা প্রতিনিধি | ৩১ মার্চ ২০২৩, ০৬:৩৮

প্রতীকী ছবি

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় লালুয়া জনতা মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি পদে মনোনয়ন নিয়ে চাঁদা দাবির অভিযোগে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিজাইডিং অফিসার সিপিপি কর্মকর্তা মো.আসাদ উজ্জামান খান ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অবনী কুমার রায়ের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও চাঁদা দাবির অভিযোগ ওসি, কলাপাড়া কে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৩০মার্চ) কলাপাড়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এ নির্দেশ প্রদান করেন। আদালতের বেঞ্চ সহকারি মো. মাহবুব মিয়া গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে উপজেলার লালুয়া জনতা মাধ্যমিক বিদ্যালয় এর বিদ্যোৎসাহী সদস্য মো. শফিকুল ইসলাম ওরফে শান্তি ফকির বিজ্ঞ আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও চাঁদা দাবির অভিযোগ এনে নালিশি মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার বিবরণে বলা হয়, ৪ মার্চ ২০২৩ বিদ্যালয় এর ম্যানেজিং কমিটি গঠনের প্রেক্ষিতে প্রকাশিত চূড়ান্ত ভোটার তালিকা মোতাবেক ২১ মার্চ সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত ৯ জন সদস্য নির্বাচিত হয়। যাদের মধ্যে ৭জন নির্বাচিত সদস্য বাদিকে সভাপতি পদে মনোনয়নের জন্য সম্মতিপত্র প্রিজাইডিং অফিসার বরাবর প্রদান করেন। কিন্তু এরপরও আসামিরা বাদীর নিকট দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন এবং দাবীকৃত চাঁদার টাকা না পেয়ে অন্য একজনকে প্রতারণামূলকভাবে সভাপতি করে বরিশাল শিক্ষা বোর্ডে রেজুলেশন প্রেরণ করেন।

তবে প্রতারণা ও চাঁদা দাবীর এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রিজাইডিং অফিসার সিপিপি কর্মকর্তা মো. আছাদ উজ্জামান খান ও প্রধান শিক্ষক অবনী কুমার রায়।

এদিকে এ ঘটনায় বাদী শান্তি ফকির একই দিন কলাপাড়া সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, বরিশাল এর চেয়ারম্যান, পরিদর্শক সহ ৪ জনকে বিবাদী করে দেওয়ানী কার্যবিধি আইনের ৩৯ আদেশের ১ রুল ১৫১ ধারার বিধান মতে কমিটির সভাপতি মনোনয়ন কার্যক্রম স্থগিত এর প্রার্থনা করেন। বাদী পক্ষের নিযুক্তীয় কৌশলীর শুনানি শেষে আদালত বোর্ড চেয়ারম্যান ও পরিদর্শককে শোকজ করেন। দেওয়ানী আদালতের বেঞ্চ সহকারি মো. মিজানুর রহমান গণমাধ্যমকে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: