কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে জামাত নেতার মেয়ে বর্তমান সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সমাজ সেবা বিষয়ক সম্পাদক হয়ে বনে গেছেন কোটি পতি। এ বিষয়ে বিএমএফ টেলিভিশনে একটি প্রতিবেদন প্রকাশের পর চ্যানেলটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সাংবাদিককে হুমকি দেয়ায় চ্যানেলের সারাদেশের প্রতিনিধিরা তীব্র প্রতিবাদ ও দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবী জানিয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার সদর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড কবির মামুদ গ্রামের দুলাল হোসেন ও সাবেক ১,২,৩ নং ওয়ার্ডের সাবেক সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ড সদস্য মোছাঃ আঞ্জুমানারা বেগমের কন্যা দোলনা আক্তারের বিরুদ্ধে সংগঠনের পরিচয় দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠে।
এছাড়া তার পিতা দুলাল হোসেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর একজন সমর্থক হিসাবে কাজ করলেও জামায়াত-বিএনপি জোটের পর বিএনপি কৃষক দলের একনিষ্ঠ কর্মী হিসাবে কাজ করে। এদিকে তার মায়ের দেয়া তথ্য মতে ফুলবাড়ী জছিমিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ৮ম শ্রেণীতে পড়ার সময় বিয়ে হওয়ার পর বেপরোয়া চালচলনের কারনে বিচ্ছেদ ঘটে। বিয়ে বিচ্ছেদের পর আবার বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করে ২০১৪ সালে এসএসসি পাশ করে ফুলবাড়ী সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করে, ২০১৮ সালে ঢাকায় পাড়ি জমায় দোলনা আক্তার।
আর ঢাকায় গিয়ে স্বামী পরিত্যক্তা থেকে বনে যান কুমারী আর নিজের নাম রাখেন নুশরাত জাহান দোলনা। নিজেকে অবিবাহিত দেখিয়ে বাগিয়ে নেন সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সমাজ সেবা বিষয়ক সম্পাদক পদ। গোপন করেন তার পিতা দুলাল হোসেন একজন স্বাধীনতা বিরোধী পাকিস্তানের দালাল হিসাবে খ্যাত বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর একজন সক্রীয় কর্মী।
এসব তথ্য নিয়ে বিএমএফ টেলিভিশনে একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন সেই কথিত নারী নেত্রী নুশরাত জাহান দোলনা ওরফে দোলনা আক্তার। প্রথমে চ্যানেলের প্রতিনিধিকে মোবাইল ফোনে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজসহ দেখে নেয়ার হুমকি দেয়। শুধু তাই নয় বিএমএফ টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কেও মোবাইল ফোনে গালিগালাজসহ মামলার হুমকি দেয়। তার এই কল রেকর্ডের সংবাদটি প্রচারের পরপরই সারাদেশের বিএমএফ টেলিভিশন চ্যানেলের প্রতিনিধিরা তীব্র প্রতিবাদ এবং এই নারী নেত্রীকে দ্রুত আইনের আওতায় আনার জোর দাবী জানিয়েছেন।
বিএমএফ টেলিভিশনের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি ও বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটির খুলনা বিভাগীয় কমিটির কৃষি ও সমবায় সম্পাদক, মোঃ নূরুন্নবী সামদানী বলেন, যেভাবে বিএমএফ টেলিভিশনের এমডি ও কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিকে মোবাইল ফোনে অশালীন ভাষায় দেখিয়ে নেয়ার হুমকি প্রদান করেন, আমি হতবাক হয়েছি। আমি তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং সেই কথিত দোলনাকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: