নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্য বলেছেন, ঐক্যবদ্ধ রাজনীতি চাই, শেখ হাসিনার রাজনীতি চাই। শেখ হাসিনার আদর্শে অনুসারী হয়ে রাজনীতি করতে চাই। ভাইয়ের রাজনীতি চাইনা, কোন অত্যাচরীর রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হবেন না।
জায়গা-জমি যারা দখল করে, তাদের সাথে থাকবেনা। আপনাদের দায়িত্ব সাধারণ মানুষের পাশে দাড়ানো, যারা চাল-ডাল নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস মজুদ করার চেষ্টা করে, সেই তথ্যগুলি ডিসি ও প্রশাসনকে দেওয়া, মাদক ব্যবসা যারা করে, তাদের তথ্য প্রশাসনকে দেওয়া। বুধবার (৩১ আগস্ট) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে আদমজীনগর এমডব্লিও উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, বিভিন্ন সময় দেখা যায়, যখনি কেউ এই সিদ্ধিরগঞ্জে অথবা নদীর ঐপাড়ে কোন সমাবেশ আয়োজন করে, তাকে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। বিভিন্ন কারণে মামলা-মোকদ্দমাসহ তার লোকজনকে বিভিন্ন ধরনের ঝামেলার মধ্যে ফেলে দেয়। সেই ২০১১ থেকে আজকে ২০২২ আমি আপনাদের সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি। কতটুকু করেছি, পেরেছি জানিনা। কিন্তু আমার চেষ্টার কোন শেষ নেই। সর্বক্ষণই মনে-প্রাণে এই শহরের মানুষকে ভালোবেসে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শেন অনুসারি হয়ে, শেখ হাসিনার ছোট্ট একটি কর্মী হয়ে আমি মানুষকে সেবা দেওয়ার চেষ্টা করেছি।
আজকে অনেকেই বড় বড় কথা বলে। মানবাধিকার নাই, গুম করা হচ্ছে, হত্যা করা হচ্ছে। পচাত্তরের পরবর্তী থেকে ৯৬'তে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার আগ পর্যন্ত কীভাবে আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীদের হত্যা করা হয়েছে, অত্যাচার করা হয়েছে, জেল দিয়েছে, জুলুম দিয়েছে, সবচেয়ে নিরাপদ জায়গা জেলখানাতেই জাতিয ৪ নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। এইভাবে অসংখ্য আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীকে গুম-হত্যা-রাহজানি করা হয়েছে। কোথায় ছিল তখন মানবাধিকার? কোথায় ছিল তখন সারাবিশ্ব। কথাতো বলেনি কেউ যে, কেন বঙ্গবন্ধুকে এইভাবে হত্যা করা হল? তার ছোট্ট ৮ বছরের ছেলে শেখ রাসেলকে হত্যা করা হল? তখনতো মানবাধিকার নিয়ে কথা বলা হয়নি, তাহলে এখন কেন? যখন বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এখন সারাবিশ্ব এখন আমাদেরকে শেখ হাসিনার উন্নয়নের দেশ হিসেবে চিনে।
সেইক্ষনে আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। সেই ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়ার জন্য আমাদের কর্মীদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমি কর্মীদের অনুরোধ করবো, যারা মনেপ্রাণে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনাকে ভালোবাসেন, তারা কোন বিভেদে জড়াবেন না। তারা সবসময় যেখানে বঙ্গবন্ধু, যেখানে শেখ হাসিনা, যেখানে নৌকা, সেখানেই যাবেন। সেটা হোক শামীম ওসমানের সমাবেশ, হোক আইভীর সমাবেশ। এমন কোন কাজ কর্মীরা করবেননা, যাতে পরে আপনাদের পালিয়ে যেতে হবে এবং আপনাদের জন্য নিরীহ কোন কর্মীকে মার খেতে হবে অথবা মামলা-মোকদ্দমার শিকার হতে হবে। এখনও সময় আছে আসুন, ঐক্যবদ্ধ রাজনীতি করুন, একে অন্যের বিরুদ্ধে না গিয়ে, মামলা-মোকদ্দমা না দিয়ে আওয়ামীলীগকে ঐক্যবদ্ধ করে আমরা কাজ করতে চাই।
নাসিক ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল লতিফ ফকিরের সভাপতিত্বে এবং ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মিজানুর রহমান রিপনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে উক্ত অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের জাতীয় কমিটির সদস্য এড.আনিসুর রহমান দীপু, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আদিনাথ বসু, যুগ্ন- সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, সদস্য সাদেকুর রহমান সাদেক, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জিএম আরাফাত, নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আহম্মদ আলী রেজা উজ্জ্বল, সিনিয়র সহ সভাপতি কামরুল হুদা বাবু, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের ত্রান ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক কাজী আতাউর রহমান, নাসিক ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার ইসলাম, ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রুহুল আমিন মোল্লা, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর মাকসুদা মোজাফফর ও মনোয়ারা বেগম প্রমুখ।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: