কেউ মঙ্গলে যেতে চান, কেউ চাঁদে। বিশ্বের বহু মানুষের মহাকাশে যাওয়ার সাধ। কিন্তু গেলেই তো আর হল না। মহাকাশে থাকার আদব-কায়দা জানাটাও জরুরি। সেইসঙ্গে চাঁদ বা মঙ্গলে জীবন-যাপন কেমন হতে পারে, তা নিয়েও বিস্তর গবেষণা চলছে। তবে সেই গবেষণা যে অনেকদূর এগিয়েছে তা বলাই যায়। না হলে Space Station-এ চাষবাসের কথা ভাবা হত না।
হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন। স্পেস স্টেশনে এবার চাষবাস হবে। আর সেই নিয়ে পরীক্ষা নীরিক্ষার জন্য স্পেস স্টেশনে থাকা মহাকাশচারীর জন্য চিনা বাধাকপির (Pak Choi) চারা, সর্ষে পাঠিয়েছে। পৃথিবী ছাড়া আর কোথাও চাষবাসের উপযুক্ত পরিবেশ রয়েছে কি না সেটা খতিয়ে দেখাই নাসা- উদ্দেশ্য। তা ছাড়া মঙ্গলে ভবিষ্যতে মানুষের বসবাসের সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছে।
স্পেশ স্টেশনে থাকা মহাকাশচারীর খাওয়ার জন্য Pak Choi পাঠানো হয়েছে। একইসঙ্গে তিনি সেখানে ওই গাছের চারাও পুঁতবেন। এছাড়া সর্ষে ও লেটুস শাকও পাঠানো হয়েছে সেই মহাকাশচারীকে। তিনিও সেগুলিও মঙ্গলের মাটিতে পুঁতবেন। NASA-র তরফে জানানো হয়েছে, এই মিশন সফল হলে মঙ্গল বা চাঁদে মানুষের ভবিষ্যতে বসবাসের সম্ভাবনা আরও উজ্জ্বল হবে।
নাসা এদিন ওই স্পেশ স্টেশনের একটি ছবি শেয়ার করেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, মহাকাশবিজ্ঞানী চিনা বাধাকপিতে সোয়া সস্ ও গার্লিক পেস্ট ছড়িয়ে খাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ওই মহাকাশচারী নির্ধারিত পদ্ধতিতে গাছের চারা মঙ্গলর পৃষ্ঠে রোপন করবেন। তার পর সেই চারা গাছে রূপান্তরিত করার জন্য বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে সবরকম চেষ্টা করবেন।
স্পেস স্টেশনে থাকা মহাকাশবিজ্ঞানীর জন্য পৃথিবী থেকে বেশ কয়েকরকম শাকসবজি পাঠানো হয়েছিল। নাসা-র তরফে তাঁকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, কিছু শাকসবজি যেন সেখানে পোঁতার ব্যবস্থা করা হয়। স্পেস স্টেশনে ফলনের এই উদ্যোগের নাম দেওয়া হয়েছে Veg-03K ও Veg-03L. ম্যাট রোমিন ও জিওয়া মাসা নামের সবজি স্পেস স্টেশনে ফলানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। ১৩ এপ্রিল বিশেষ এক ধরণের সর্ষে ও চিনা বাধাকপির চারা পোঁতা হয়েছিল স্পেস স্টেশনে। ৬৪ দিন পর আশানুরূপ ফল পাওয়া যাবে বলে মনে করছেন নাসা-র বিজ্ঞানীরা।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: