বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে চলছে একনায়কতন্ত্র, সবকিছুর নির্দেশনা আসে এক জায়গা থেকে- এমন অভিযোগ করেছেন সাবেক বোর্ড সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী।
তিনি বলেন, বোর্ডের কোনো জবাবদিহিতা নেই, নির্বাচনও লোক দেখানো।
সাবের চৌধুরীর অভিযোগ গত ৯ বছরে সাকিব-মুশফিকদের কোন বিকল্প তৈরি করতে পারেনি এই বোর্ড, যা তাদের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা।
দল ম্যাচ জিতলে সব কৃতিত্ব নিজের আর পরিষদের আর হারলে সব দায় খেলোয়াড়দের-এমন সংস্কৃতিতে ক্ষুব্ধ সাবেক বোর্ড সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী।
বুধবার বেসরকারি এক টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাতকারে এসব কথা বলেন।
বিসিবি’র সাবেক সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, সমালোচনার জন্য আপনাকে সবসময় প্রস্তুত থাকতে হবে। টিম খারাপ করলে খেলোয়াড়দের দুষবেন আর ভাল করলে সব কৃতিত্ব আপনার! এটা তো হয় না। জবাবদিহিতার একটা জায়গা থাকে, থাকা উচিত। এ সংস্কৃতিও বন্ধ হওয়া উচিত।
নাজমুল হাসান পাপন ৩য় দফাত্য পালন করছেন গুরু দায়িত্ব। অবশ্য, বোর্ডে পাপনের ভূমিকায় একনায়কতন্ত্রের দেখা পেয়েছেন সাবের হোসেন চৌধুরী। সাবেক সভাপতি সাবের চৌধুরী বলেন, উনি প্রতিটা জায়গায়ই হস্তক্ষেপ করেন, লুকোচুরি না উনি প্রকাশ্যেই বলেন এসব। উনি টিম সিলেকশনে ইন্টারফেয়ার করেন, সিলেক্টরদের ক্ষেত্রেও ওনার হস্তক্ষেপ দৃশ্যমান। প্রতিটা ক্ষেত্রেই তার হস্তক্ষেপ বিদ্যমান। টসে জিতে ব্যাটিং-বোলিং নিয়ে টিম যদি তার সিদ্ধান্তের বাইরে যায় সেটা নিয়েও উনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। অথচ এটা একটা কালেকটিভ এনটিটি।
সাবের চৌধুরী জানালেন ২০টিরও বেশি কমিটি রয়েছে বিসিবিতে, কিন্তু স্বাধীন নয় কেউই। একজনে অঙ্গুলী হেলনেই চলে সবকিছু। সাবের চৌধুরী বলেন, ইলেকশনের আগেই এটা ঠিক করা হয়ে গেছে যে কারা ডিরেকটর হবেন, সবাই জানতো। কাউকে বিদেশ থেকে ডেকে আনা হয়েছে, কাউকে বলেছে “তুমি জমা দাও”। এটা হচ্ছে একটা লোক দেখানো প্রক্রিয়া যে, এখানে একটা নির্বাচন হচ্ছে। এজন্যই, এ নির্বাচন নিয়ে কারো কোনো আগ্রহ ছিলো না।
৯ বছরেও নাজমুল হাসান পাপনের বোর্ড সাকিব-মুশফিকদের বিকল্প ক্রিকেটার বের করতে পারেনি। ভবিষ্যত নিয়ে তাই শঙ্কিত সাবের বললেন, আপনার তো সেই পাইপ লাইনই নেই, ফলে একটা সময় সাকিব, রিয়াদ, মুশফিক বা মুস্তাফিজ যখন রিটায়ার করবে, তখন এদের রিপ্লেসমেন্টগুলো কোথায়? আমার চোখে তো পড়ে না।
বোর্ড ভাল চলছেনা, তাই ক্রিকেটারদের মধ্যেও গা ছাড়া ভাব লক্ষ্য করছেন সাবের।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: