ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) এর দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে দিল্লি ক্যাপিটালসকে হারিয়ে ৩ উইকেটে জয়ে পেয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। এ জয়ের মধ্য দিয়ে টুর্নামেন্টের ফাইনাল নিশ্চিত করল কলকাতা নাইট রাইডার্স।
নির্ধারিত ২০ ওভারে দিল্লির ১৩৫ রানের জবাবে ৭ উইকেট হারিয়ে এক বল হাতে রেখেই জয়ের স্বাদ পায় শাহরুখ খানের দল। সাকিব উইকেটশূন্য থাকার পাশাপাশি ২ বল খেলে আউট হয়েছেন শূন্য রানে।
শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ১৩৬ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে কলকাতার দুই ওপেনার শুবমান গিল ও ভেঙ্কাটেশ আয়ার মিলে গড়েন ৯৬ রানের জুটি। তুলনামূলক মেরে খেলতে থাকা আয়ার বিদায় নেন কাগিসো রাবাদার বলে বদলি খেলোয়াড় স্টিভ স্মিথকে ক্যাচ দিয়ে। ৪১ বলে ৪ চার ও ৩ ছয়ে ৫৫ রান করেন তিনি।
এরপর কিছু সময়ের ব্যবধানে তিনটি উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় কলকাতা। গিলের পর প্যাভিলিয়নে ফিরেন নিতিশ রানা ও দীনেশ কার্তিকও। গিল ৪৬, রানা ১৩ ও কার্তিক আউট হন শূন্য রানে। সাকিবসহ কলকাতার মরগ্যান, নারিন ও লকি ফার্গুসনও নামের পাশে কোনো রান তুলতে পারেননি। এমতাবস্থায় হারের শঙ্কা ঝেঁকে ধরে কলকাতাকে। কিন্তু ২০তম ওভারের পঞ্চম বলে ছয় হাঁকিয়ে দলকে জয় এনে দেন রাহুল ত্রিপাটি।দিল্লির হয়ে দুটি করে উইকেট নেন নর্কিয়া, অশ্বিন ও রাবাদা। এক উইকেট পান আভেস খান।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ১৩৫ রান করে দিল্লি। সাকিবের করা প্রথম ওভারে দিল্লি সংগ্রহ করে মাত্র ১ রান। যদিও পরের দুই ওভারে খরুচে ছিলেন বাংলাদেশি অলরাউন্ডার, দেন ২৩ রান। শেষ পর্যন্ত সাকিব ৪ ওভারে ২৮ রান দিলেও উইকেটের দেখা পাননি। দিল্লির পক্ষে ৩৯ বলে ৩৬ রান করেন ধাওয়ান, হাঁকিয়েছেন একটি চার ও ২টি ছক্কা। এ ছাড়া শ্রেয়াস আয়ার ২৭ বলে অপরাজিত ৩০, পৃথ্বী শো ১২ বলে ১৮, মার্কাস স্টোইনিস ২৩ বলে ১৮ রান করেন।
কলকাতার পক্ষে এদিন সাকিবের মতো উইকেটশূন্য ছিলেন সুনীল নারিনও। ৪ ওভার বল করে তিনি খরচ করেন ২৭ রান। দলের পক্ষে বরুণ চক্রবর্তী দুটি এবং লকি ফার্গুসন ও শিভম মাভি একটি করে উইকেট শিকার করেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: