সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ফিল্ডিংয়ের সময় হাতে ব্যথা পেয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন দলের নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান লিটন দাস। পরে জিম্বাবুয়ের করা ১৫২ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর টপকে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল ৮ উইকেটে জিতলেও, ব্যাটিংয়ে নামানো হয়নি লিটনকে।
একদিন পরেই দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি হওয়ায় চোট সারতে সময় পাননি লিটন। ঝুঁকিও নেয়নি নির্বাচকরা। তাকে বিশ্রামে রাখার সিদ্ধান্ত হয়। আর লিটনের চোট অনেকটা শাপে বরের মতো হয়ে দাঁড়ায় স্কোয়াডে থাকা শামিম হোসেন পাটওয়ারীর জন্য।
আন্তর্জাতিকে বাংলাদেশের ৭১তম ক্রিকেটার হিসেবে অভিষেক ঘটে শামিমের। যুববিশ্বকাপ জয়ী এ তরুণ তুর্কিকে অলরাউন্ডার হিসেবেই জানে। শেষদিকে ধুমধাড়াক্কা ব্যাটিং করে ম্যাচ জিতিয়ে আনার ইনিংস খেলতে পারদর্শী তিনি।
বোলিংও জানেন ভালো। সব কিছু বিবেচনায় লিটন দাসের জায়গায় এ তরুণ অলরাউন্ডারের ওপর আস্থা রাখে নির্বাচকরা।
আর আস্থার প্রতিদানও দিয়েছেন শামিম। শুক্রবার দ্বিতীয় ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তিনিই। দুই দল মিলিয়েই ম্যাচে সর্বোচ্চ স্ট্রাইক রেটও এই বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানের।
টপ ও মিডলঅর্ডারের ভরাডুবির পর শেষ দিকে নামানো হয় শামিমকে। ১৩ বলে দুই ছক্কা ও তিন চারে ২৯ রান করেন তিনি। এর আগে বোলিংয়ে এক ওভার করে দেন কেবল ৭ রান।
সবমিলিয়ে অভিষেকে দুর্দান্ত খেলেছেন শামিম। যদিও ম্যাচটি হেরে যাওয়ায় তার পারফরম্যান্স চাপা পড়ে গেছে।
তবে ম্যাচ শেষে বিষয়টি ঠিকই মনে রেখেছেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। বললেন, ‘শামীম বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য দারুণ এক প্রতিভা। আজকে (শুক্রবার) ওর ভালো অভিষেক হয়েছে আমি মনে করি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা জিততে পারিনি। কিন্তু ও খুব ভালো ব্যাট করেছে। শেষ করতে পারলে শামিমেরও ভালো লাগত, আমাদের দলের জন্যও কাজে আসত। একটা ওভার বোলিং করেছে। দারুণ এক অলরাউন্ডার পেয়েছি আমরা।’
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: