কোপা আমেরিকার শিরোপা ধরে রাখার দৌড়ে বড় একটা ধাপ পার হলো ব্রাজিল। রিও ডি জেনিরোয় আজ কোয়ার্টার ফাইনালে চিলিকে ১-০ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালের দেখা পেয়েছে তিতের দল। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে এগিয়ে যাওয়ার পরপরই ১০ জনের দলে পরিণত হলো ব্রাজিল। একজন বেশি থাকার সুবিধা কাজে লাগিয়ে তাদের চেপে ধরল চিলি। কিন্তু একের পর এক আক্রমণ ঠেকিয়ে ব্যবধান ধরে রাখতে সক্ষম হয় ব্রাজিল।
রিও দে জেনেইরোর নিল্তন সান্তোস স্টেডিয়ামে কোয়ার্টার-ফাইনালে ১-০ গোলে জিতেছে ব্রাজিল। বিরতির সময় বদলি নামা লুকাস পাকুয়েতা করেছেন ম্যাচের একমাত্র গোলটি। সেমিফাইনালে ব্রাজিলের প্রতিপক্ষ গতবার ফাইনালে ওঠা পেরু। রাত ৩টায় শেষ আটে অপর ম্যাচে প্যারাগুয়েকে টাইব্রেকারে ৪-৩ ব্যবধানে হারিয়ে সেমিফাইনালের টিকিট পায় পেরু।
এস্তাদিও নিল্টন সান্তোস স্টেডিয়ামে গোলশুন্য ব্যবধানে প্রথমার্ধ শেষ করে ব্রাজিল ও চিলি। বিরতির পর ৪৫ মিনিটে রবার্তো ফিরমিনোকে তুলে লুকাস পাকেতাকে মাঠে নামান ব্রাজিল কোচ তিতে। ৪৬ থেকে থেকে ৪৮, ম্যাচের এই ৩ মিনিট ব্রাজিলের জন্য ছিল নাটকীয়।
বদলি হয়ে নামার পরের মিনিটেই (৪৬ মিনিট) গোল করে ব্রাজিলকে এগিয়ে দেন পাকেতা। বক্সের ভেতর নেইমারের সঙ্গে দারুণভাবে বল আদান-প্রদান করে জোরাল শটে গোল করেন লিঁও মিডফিল্ডার। শুন্যের ওপর তাঁকে দেওয়া নেইমারের পাসটিও ছিল দারুণ।
৪৯তম মিনিটে ১০ জনের দলে পরিণত হয় ব্রাজিল। অনেক উপরে পা তুলে বল নিয়ন্ত্রণে নিতে চেয়েছিলেন জেসুস। কিন্তু তার বুট গিয়ে লাগে ইউজেনিও মেনার মুখে। ঘটনার গুরুত্ব বুঝে সঙ্গে সঙ্গেই মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়েন ম্যানচেস্টার সিটি ফরোয়ার্ড। বিপজ্জনক ফাউলের জন্য তাকে লাল কার্ড দেখান আর্জেন্টাইন রেফারি পাত্রিসিও লোসতাও।
কোপা আমেরিকার গত আসরের ফাইনালেও লাল কার্ড দেখেছিলেন জেসুস।
৬২তম মিনিটে বল জালে পাঠায় চিলি। কিন্তু অফসাইডের জন্য মিলেনি গোল। চার মিনিট পর ব্যবধান বাড়ানোর দারুণ সুযোগ আসে নেইমারের সামনে। প্রতি আক্রমণে বল পায়ে ডি বক্সে ঢুকে পড়েন পিএসজি ফরোয়ার্ড। কিন্তু তার শট সহজেই ফিরিয়ে দেন ব্রাভো।
৬৯তম মিনিটে একটুর জন্য সমতা ফেরাতে পারেনি চিলি। মেনার দারুণ ক্রসে ব্রেন বেরেটনের হেডে লাফিয়েও হাত ছোঁয়াতে পারেননি এদেরসন। ক্রসবারে লেগে বল ফিরে মাঠে। বেঁচে যায় ব্রাজিল।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: