ভারত অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে হেরে যুব বিশ্বকাপ শুরু করেছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। তবে পরের ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়ায় এশিয়ার চ্যাম্পিয়নরা। আজ যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে পারলে সুপার সিক্স নিশ্চিত হবে টাইগারদের। এমন ম্যাচে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে আরিফুল ইসলামের শতকে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৯১ রানের সংগ্রহ পায় টাইগার যুবরা। সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৭ বল হাতে রেখেই ১৭০ রানে গুটিয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্র। এতে ১২১ রানের বিশাল জয়ে যুব বিশ্বকাপের সুপার সিক্সের টিকেট কাটে টাইগার যুবরা।
বাংলাদেশের দেওয়া পাহাড়সম ২৯২ রানের লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে উদ্বোধনে নামেন প্রণব চেট্টিপালায়ম ও ভব্য মেহতা। বড় রানের লক্ষ্যে শুরুটা ভালো হয়নি যুক্তরাষ্ট্রের। দলীয় ১১ রানে মেহতাকে হারায় তারা। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে ব্যাট করতে আসেন সিদ্ধার্থ কাপা। শুরু ধাক্কা সামলে সিদ্ধার্থকে নিয়ে ভালো শুরুর আভাস দেন আরেক ওপেনার প্রণব। তবে উইকেট থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি কাপা।
দলীয় ৮৬ রানে কাপা আউট হলে ভাঙে ৭৫ রানের এই জুটি। সাজঘরে ফেরার আগে ৪৪ বলে ১৮ করেন এই ব্যাটার। সঙ্গী আউট হলে বেশিক্ষন টিকতে পারেননি প্রণবও; দলীয় ৯১ রানে সাজঘরে ফেরেন তিনি। প্যাভিলিয়নে যাবার আগে ৯০ বলে ৫৭ করেন তিনি। এরপর দ্রুত ফেরেন অধিনায়ক ঋষি রমেশও। সাজঘরে ফেরার আগে ২২ বলে ৮ রান করেন তিনি।
এরপর উৎকর্ষ শ্রীবাস্তব ও আমোঘ আরেপল্লী ৪১ রানের জুটি গড়লেও তা শুধু হারের ব্যবধান কমিয়েছে। শেষ পর্যন্ত ১৭ বল হাতে রেখেই ১৭০ রানে গুটিয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে মাহফুজুর রহমান রাব্বির নেন সর্বোচ্চ চার উইকেট।
ব্লুমফন্টেইনে আগে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের হয়ে যথারীতি ইনিংস উদ্বোধনে নামেন আশিকুর রহমান শিবলী ও আদিল বিন সিদ্দিক। ম্যাচের শুরুতে দেখেশুনে খেলতে থাকেন এই দুই ওপেনার। তবে এই জুটি ভয়ংকর হয়ে ওঠার আগেই যুক্তরাষ্ট্র উইকেট তুলে নেন। দলীয় ২৯ রানে আদিল ব্যাক্তিগত ১৩ রান করে সাজঘরের পথ ধরেন। দ্বিতীয় উইকেটে ব্যাট হাতে আসেন চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান।
শুরুর ধাক্কা সামল দিয়ে এগোতে থাকে ওপেনার শিবলী ও রিজওয়ান। তবে দ্বিতীয় জুটিও বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে পারেনি দলীয় ৬৭ রানে শিবলী আউট হলে ভাঙে ৩৮ রানের এই জুটি। সাজঘরে যাবার আগে ৪৫ বলে ২৭ করেন তিনি। তার বিদায়ে তৃতীয় উইকেটে আসেন আরিফুল ইসলাম। তাকে সঙ্গে নিয়ে আরেকটি ছোট্ট জুটি গড়েন রিজওয়ান।
তবে উইকেটে থিতু হতে পারেনি এই জুটিও; দলীয় ৯৪ রানে শিবলী আউট হলে ভাঙে ২৭ রানের এই জুটি। প্যাভিলিয়নের যাবার আগে ৪০ বলে ৩৫ রান করেন তিনি। নিয়তিম বিরতিতে উইকেট হারালে দলীয় রানের চাকা সচল রাখেন আরিফুল। চতুর্থ উইকেটে আহরার আমিনকে সঙ্গে নিয়ে বড় সংগ্রহের ভিত তৈরি করেন এই জুটি। সেই সঙ্গে ব্যক্তিগত ফিফটিও তুলে নেন আরিফুল।
এরপর এই দুই ব্যাটার চড়া হয়ে রান তুলতে থাকে। তবে দলীয় ২১৬ রানে আহরার আউট হলে ভাঙে ১২২ রানের এই জুটি। জুটি ভাঙলেও রানের চাকা সচল রাখে নিজের শতক তুলে নেন আরিফুল। তবে শতকের পর নিজের ইনিংসটা আর বেশি বড় করতে পারেননি এই টাইগার তরুণ। দলীয় ২৩৭ রানে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। প্যাভিলিয়নে যাবার আগে ১০৩ বলে ১০৩ করেন তিনি।
শেষ দিকে শিহাব জেমসের ৩১ রানের ক্যামিও ইনিংসে ভর করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে হারিয়ে ২৯১ রানের সংগ্রহ পায় টাইগার যুবরা। যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে আর্য গর্গ নেন সর্বোচ্চ তিন উইকেট।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: