ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে গত মৌসুমে কোচ রালফ রাঙনিককে তার পছন্দ ছিল না। গত ডিসেম্বরে বিতর্কিত ইংলিশ সাংবাদিক পিয়ার্স মরগানের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে কতটা অপছন্দ ছিল প্রকাশ করে রোনালদো সোজাসাপটা বলে দিয়েছিলেন, তিনি তো কোনো কোচই না।
এই মৌসুমে ম্যান ইউনাইটেডের কোচ এরিক টেন হাগকে তিনি সম্মান করেন না বলেও মরগানের সঙ্গে গত নভেম্বরে প্রকাশিত সেই সাক্ষাৎকারেই বলেছিলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ম্যান ইউনাইটেড তার সঙ্গে চুক্তি বাতিল করার সবচেয়ে বড় কারণও ওই এক সাক্ষাৎকারই।
গেল বিশ্বকাপে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মেসির আর্জেন্টিনা যখন শিরোপা জিতে গেল, রোনালদোর পর্তুগাল বিদায় হয়ে গেছে কোয়ার্টার ফাইনালে। সেখানে শেষ দুই ম্যাচে ঠিকমতো তাকে না নামানোয় পর্তুগালের সে সময়ের কোচ ফের্নান্দো সান্তোসের সঙ্গেও রোনালদোর বিরোধের কথা শোনা গিয়েছিল।
ইংল্যান্ড ছেড়ে রোনালদোর ঠিকানা এখন সৌদি আরব। এখানেও কয়েক মাস যেতে না যেতেই নিজ ক্লাব আল-নাসরের কোচের সঙ্গে মিলছে না রোনালদোর। মাদ্রিদভিত্তিক স্প্যানিশ ক্রীড়াদৈনিক এএসের খবর।
সৌদি লিগে আর ম্যাচ বাকি আছে ৭টি করে। এমন অবস্থায় শীর্ষে থাকা আল-ইত্তিহাদের চেয়ে ৫ পয়েন্ট পিছিয়ে রোনালদোর ক্লাব আল-নাসর। তিনে থাকা আল-শাবাব তাদের চেয়ে ৩ পয়েন্ট পিছিয়ে। দুদিন আগে আল-ফেইহার সঙ্গে গোলশূন্য ড্রয়ের পর রেগেমেগে মাঠ ছেড়েছিলেন রোনালদো।
এএস জানাচ্ছে, রোনালদোর রাগ মূলত আল-নাসর কোচ রুদি গার্সিয়ার ওপর। ৩৮ বছর বয়সী পর্তুগিজ সুপারস্টারের মনে হচ্ছে, গার্সিয়ার কৌশলের কারণেই আল-নাসর আরও ভালো করতে পারছে না।
এদিকে ইংলিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মিররের দাবি, রোনালদোর অসন্তুষ্টির কথা জানার পর গোপন বৈঠকও হয়েছে আল-নাসরের কর্তাদের। গার্সিয়াকে কোচের পদ থেকে সরিয়ে দেয়ার প্রক্রিয়াও নাকি চলছে সেখানে।
এসটি/এসকে
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: