টিয়া পৃথিবীর বুদ্ধিমান পাখিগুলোর একটি। গবেষণায় জানা গেছে, এদের ৫ বছর বয়সী মানবশিশুর সমপরিমাণ বুদ্ধিমত্তা রয়েছে। বিশ্বে প্রায় ৩৭২ প্রজাতির টিয়া পাখি রয়েছে। এদের মাঝে আফ্রিকান গ্রে প্যারট সবচেয়ে বেশি বুদ্ধিমান। ক্ষুদ্র হওয়া সত্ত্বেও এদের বুদ্ধিমত্তা শিম্পাঞ্জি বা হাতির মতই। এদের মস্তিষ্ক খুবই উন্নত ও কার্যকরী।
প্রাত্যাহিক সমস্যার সমাধান, ভাষা রপ্ত করা এবং সম্পর্ক গড়ে তোলায় এরা বেশ পারদর্শী। সবকিছুই এরা ধারণ করে ক্ষুদ্র এক মস্তিষ্কে। মনোবিজ্ঞানী ড. ইরিন পিপারবার্গ এলেক্স নামের একটি টিয়া পাখির উপর গবেষণা করেন। এলেক্স ১০০ টি শব্দ মুখস্ত করেছিল। সে বিভিন্ন বস্তু এবং রঙ চিনতে পারত। গণিতের প্রাথমিক ধারণাগুলোও তার ছিলো। গবেষণায় প্রমাণিত হয়, এলেক্স শুধু ভাষার অনুকরণই করছে না- বরং বিষয়বস্তুও বুঝতে সক্ষম।
এলেক্স নিজেও কিছু শব্দ তৈরি করেছিল। চোখের আড়ালের কোন কিছুর উপস্থিতি মনে রাখতে পারাও বেশ বুদ্ধিমত্তার ব্যাপার। মানবশিশু এ ধরণের বুদ্ধিমত্তা নিয়ে জন্মগ্রহন করে না। ২ বছর বয়সে তাদের এ বুদ্ধিমত্তা অর্জিত হয়। এলেক্স মাত্র ২১ সপ্তাহ বয়সেই এমন বুদ্ধিমত্তা প্রদর্শনে সক্ষম হয়। হাতিয়ার ব্যবহার করার ক্ষমতা বুদ্ধিমত্তার আরেকটি পরিমাপক হিসেবে বিবেচিত হয়।
পাম ককাতু নামের এক ধরণের টিয়া কাঠি ব্যবহার করে সঙ্গীত তৈরি করতে পারত। সঙ্গীতের উদ্দেশ্য, নিজ বাসায় সঙ্গীকে আমন্ত্রণ জানানো। এছাড়াও ঠোঁট ব্যবহার করে অনেক টিয়াই আঙ্গুর ছিলতে পারে। ভেঙ্গে খেতে পারে বাদাম জাতীয় ফলও।
টিয়ার মস্তিষ্ক আমাদের তুলনায় খুবই ক্ষুদ্র।কিন্তু, ক্ষুদ্র মস্তিষ্কেও তারা যে পরিমাণ বুদ্ধিমত্তা প্রদর্শন করে তা অত্যন্ত বিস্ময়কর।
ক্রেডিট- ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: