রমজানের রোজা মুসলমানের জন্য ফরজ ইবাদত। আল্লাহ তাআলা এ ইবাদতকে যুগে যুগে সব জাতির ওপরই ফরজ করেছিলেন। আর এ রোজার মাধ্যমেই মানুষ তাকওয়াবান হবে।
অনেকেই জানে না যে, কী কাজ করলে রোজা ভেঙে যাবে? কিংবা রোজা রেখে কি কি কাজ করা যাবে না, তাও অনেকে জানে না। সে লক্ষ্যেই উল্লেখ করা জরুরি- ‘যেসব কাজ করলে রোজা ভেঙে যাবে’।
শুরুতেই রোজা পরিচয় জেনে নেয়া দরকার। আর তাহলো-
‘সূর্যোদয়ের আগে (ভোর রাত) থেকে সূর্য ডোবা (সন্ধ্যা) পর্যন্ত নিয়তসহ খাওয়া-পান করা এবং স্ত্রীর সঙ্গে মেলামেশা থেকে বিরত থাকার নাম হচ্ছে সিয়াম বা রোজা।’
রোজার এ পরিচয় থেকে বুঝা যায় যে, সেসব লোকের রোজা ভেঙে যাবে; যদি-
- কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো কিছু খায়
- কেউ ইচ্ছা করে পান করে
- আবার কেউ যদি স্ত্রীর সঙ্গে দিনের বেলায় মেলামেশা এবং বীর্জপাত হয় তবে তার রোজা ভেঙে যাবে।
- কেউ ইচ্ছা করে বমি করলে।
- কেউ যদি হস্তমৈথুন করে, আর তাতে বীর্জপাত হয়।
- দিনের বেলায় হিজামা বা সিঙ্গা লাগালে, আর তাতে চায়ের কাপ পরিমাণ রক্ত বের হয়।
- ধূমপান করলেও রোজা ভেঙে যাবে।
ইচ্ছা করে কেউ যদি এ সাতটি কাজ করে তবে তাদের রোজা ভেঙে যাবে। আর এ কাজে ওই ব্যক্তির জন্য রোজার কাজা ও কাফফারা আদায় করতে হবে।
এ রোজার কাফফারা হলো- একটি রোজার জন্য লাগাতার ৬০টি রোজা রাখতে হবে। এর মধ্যে যদি কেউ রোজা ভেঙে ফেলে তবে তাকে পুনরায় আবার ৬০টি রোজা রাখা শুরু করতে হবে।
আর কেউ যদি ইচ্ছা করে একটা রোজা ভেঙে ফেলেছেন কিন্তু এখন একাধারে ৬০টি রোজা রাখা সম্ভব নয়; অসুস্থ। তবে তার কী করণীয়?
সে ক্ষেত্রে কাফফারা হলো- ৬০জন মিসকিনকে একবেলা খাবার খাওয়াবে। আর তাতে ওই ব্যক্তির রোজার কাফফারা আদায় হয়ে যাবে।
একটা কথা মনে রাখতে হবে-
রমজানের রোজা পালনের যে মর্যাদা ও ফজিলত, কাফফারা আদায়কালে সে রোজার মর্যাদা ও ফজিলত রমজানের রোজার মতো নয়। তাই ইচ্ছা করে রমজানের রোজা ভেঙে ফেলার কোনো সুযোগই নেই। এ কাজগুলো থেকে বিরত থাকা জরুরি।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে রোজার সময় বিশেষ করে রমজানের দিনের বেলায় উল্লেখিত ৭টি কাজ থেকে বিরত থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: