করোনা পরিস্থিতিতে নিজ নিজ বাসা থেকে ওজু করে, সুন্নত ও নফল নামাজ ঘরে আদায় করে শুধু ফরজ নামাজ মসজিদে আদায় করতে অনুরোধ করেছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
এছাড়া মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের আগে পুরো মসজিদ জীবানুনাশক স্প্রে দ্বারা স্যানিটাইজ করে করতে হবে এবং প্রবেশের আগে হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সাবান-পানি রাখতে হবে বলে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার (৬ জুলাই) বিকেলে ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে মুসল্লিদেরকে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরে মসজিদসহ উপাসনালয়ে যেতে বলা হয়েছে।
ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে মসজিদসমূহে জামায়াতে নামাজ আদায়ের জন্য আবশ্যিকভাবে কিছু বিষয় মানতে বলা হয়েছে।
শর্তগুলো হলো-
১. মসজিদের প্রবেশদ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সাবান-পানি রাখতে হবে এবং আগত মুসল্লিদের অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে আসতে হবে।
২. প্রত্যেককে নিজ নিজ বাসা থেকে ওযু করে, সুন্নাত নামাজ ঘরে আদায় করে মসজিদে আসতে হবে এবং ওজু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।
৩. মসজিদে কার্পেট বিছানো যাবে না। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পূর্বে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবানুনাশক দ্বারা পরিষ্কার করতে হবে।
৪. মুসল্লিদের প্রত্যেককে নিজ নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসতে হবে।
৫. কাতারে নামাজে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে।
৬. শিশু, বয়বৃদ্ধ, যে কোনো অসুস্থ ব্যক্তি এবং অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি জামায়াতে অংশগ্রহণ করা হতে বিরত থাকবে।
৭. সংক্রমণ রোধ নিশ্চিতকল্পে মসজিদের ওযুখানায় সাবান/হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে।
৮. মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না।
৯. সর্বসাধারণের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনীর নির্দেশনা অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে।
অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বা উপাসনালয়ে প্রবেশের ক্ষেত্রেও মাস্ক পরিধান, হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা সাবান দিয়ে হাত ধোয়াসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব যথাযথভাবে অনুসরণ করবেন।
এসব নির্দেশনা মান না হলে স্থানীয় প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: