নামাজ সঠিকভাবে আদায় না হওয়ার পেছনে যেসব ভুলত্রুটি হয়ে থাকে তার মধ্যে কয়েকটি ভুলত্রুটির নির্দেশনা দেওয়া হলো দ্রুত নামাজ আদায়।
অনেকেই খুব দ্রুত নামাজ আদায় করেন। নামাজে ঠিকমতো রুকু-সেজদা আদায় না করেই তারা নামাজ শেষ করেন। কিন্তু রাসূল (সা.) আমাদের যথাযথ আদবের সাথে সময় নিয়ে নামাজ আদায় করতে বলেছেন। তিনি সময় নিয়ে কিয়াম, রুকু, সেজদা ও বৈঠক করতে নির্দেশ দিয়েছেন।
হজরত আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) একবার মসজিদে প্রবেশ করেন। তার পরপরই অপর এক ব্যক্তি মসজিদে প্রবেশ করে নামাজ আদায় করেন। এরপর সে রাসূল (সা.) এর কাছে এসে তাকে সালাম করেন। রাসূল (সা.) তার সালামের জবাব নেওয়ার পর বলেন, ‘যাও, নামাজ পড়ো। তুমি নামাজ পড়নি।’
লোকটি ফিরে গিয়ে নামাজ আদায় করলো এবং নামাজ আদায় শেষে আবার রাসূল (সা.) কে সালাম করলো। রাসূল (সা.) তার সালামের জবাব নিয়ে বললেন, ‘যাও, নামাজ পড়ো। তুমি নামাজ পড়নি।’ এভাবে তিনবার তিনি লোকটিকে পুনরায় নামাজ পড়তে পাঠালেন। শেষে লোকটি বললো, ‘তার কসম যিনি আপনাকে সত্যের বাণী দিয়ে পাঠিয়েছেন। আমি এর থেকে উত্তম আর কিছুই করতে পারবো না। আমাকে শিক্ষা দিন।’
রাসূল (সা.) তখন বলেন, ‘যখন তুমি নামাজে দাঁড়াবে, তখন তাকবীর দিবে। এরপর কুরআন থেকে তোমার জন্য সহজ কিছু পাঠ কর।
এরপর রুকুতে যাও এবং রুকুতে সম্পূর্ণভাবে স্থির হয়ে নাও। এরপর স্থিরভাবে সম্পূর্ণ সোজা হয়ে দাঁড়াও। এরপর সেজদায় যাও এবং সেজদায় সম্পূর্ণ স্থির হয়ে নাও। এরপর সেজদা থেকে উঠে স্থির হয়ে বস। এভাবে করে তুমি সম্পূর্ণ নামাজ আদায় করো।’ [বুখারী, হাদিস নং : ৭৫৭; মুসলিম, হাদিস নং : ৩৯৭]
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: