জিয়ার নাম খুনি ও বিশ্বাসঘাতক হিসেবেই থাকবে: তথ্যমন্ত্রী

সময় ট্রিবিউন | ৯ অক্টোবর ২০২১, ০৬:৪২

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ-ফাইল ছবি

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের নাম ইতিহাসের পাতায় একজন খুনি ও বিশ্বাসঘাতক হিসেবেই চিহ্নিত হয়ে থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

শুক্রবার শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদ আয়োজিত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

১৮ অক্টোবর বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ সন্তান শহীদ শেখ রাসেলের ৫৭তম জন্মবার্ষিকী। এ উপলক্ষে রাজধানীর শেখ রাসেল রোলার স্কেটিং কমপ্লেক্সে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘জিয়া যে হাজার হাজার সেনাসদস্যকে হত্যা করেছে, তাদের পরিবারের সদস্যরা সম্প্রতি মিলিতভাবে জিয়ার বিচার চেয়েছে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্য কুশীলবদের বিচার এবং ক্ষমতা নিষ্কণ্টক করতে জিয়া পরিচালিত হত্যাযজ্ঞের বিচারের জন্য কমিশন গঠন করা প্রয়োজন। জিয়াউর রহমানের মুখোশ তাতে আরও উন্মোচিত হবে এবং আজকে যারা তার দল করে, তারা সেদিন লজ্জিত হবে।’

হাছান মাহমুদ আরও বলেন, কারবালার প্রান্তরেও শিশু ও নারীদের হত্যা করা হয়নি। কিন্তু ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট শিশু, নারী, অন্তঃসত্ত্বাকেও হত্যা করা হয়েছে। শিশু শেখ রাসেলকেই শুধু নয়, ৪ বছরের শিশু সুকান্ত বাবু, ১২ বছরের বেবি সেরনিয়াবাত, ১৪ বছরের আরিফ সেরনিয়াবাত এবং অন্তঃসত্ত্বা আরজু মনিকেও ঘাতকেরা হত্যা করেছে। আসলে বঙ্গবন্ধুর ছায়াকেও খুনিরা ভয় পেত।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সেনাপ্রধান, উপপ্রধান বা যেকোনো সেনা কর্মকর্তার দায়িত্ব নিজের জীবন বিপন্ন করে হলেও রাষ্ট্রপতিকে রক্ষা করতে ছুটে যাওয়া। আর জিয়াউর রহমানকে যখন রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধুকে হত্যার খবর দেওয়া হয়, তখন সে বলেছিল, ‘‘সো হোয়াট, ভাইস প্রেসিডেন্ট ইজ দেয়ার।’’ অর্থাৎ, সে আগে থেকেই জানত। বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কর্নেল ফারুক-রশিদ বলেছে, তাদের কাছে হত্যা পরিকল্পনা শুনে জিয়া বলেছিল, ‘‘গো অ্যাহেড’’। সে কারণে জিয়া শুধু বঙ্গবন্ধু হত্যায় নয়, শেখ রাসেল হত্যায়ও জড়িত।’



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


জনপ্রিয় খবর