দেশের আইন আদালতের তোয়াক্কা না করে মনগড়া কথা বলাই বিএনপির স্বভাব উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ভাবনায় এবং চর্চায় বিএনপির একমুখি দর্শন তাদের রাজনৈতিক অস্তিত্বের শেকড় কে দিনদিন দুর্বল করছে।
ওবায়দুল কাদের আজ সকালে তাঁর বাসভবনে ব্রিফিংকালে একথা জানিয়েছেন।
সরকার নাকি বেগম জিয়াকে ভয়ে বিদেশ যেতে দিচ্ছে না, বিএনপি মহাসচিবের এই অভিযোগের ব্যাপারে ওবায়দুল কাদের বলেন প্রকৃতপক্ষে বিএনপিই বেগম জিয়ার চিকিৎসা চায় কিনা তা নিয়ে জনমনে সন্দেহ আছে।
তিনি বলেন, যে নেত্রীর মুক্তির জন্য বিএনপি একটি মিছিলও করতে পারেনা, তাদের মুখে মায়াকান্না মানায় না।
শেখ হাসিনা সরকার বেগম জিয়া কিংবা ক্ষয়িষ্ণু বিএনপিকে ভয় পায় না বরং তাঁর বয়স এবং স্বাস্থ্যের ওপর নজর দিয়ে সাজা স্থগিত করেছে চতুর্থ বারের মতো উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন এ উদারতা একমাত্র শেখ হাসিনাই দেখিয়েছেন।
তিনি বলেন, বিএনপি শেখ হাসিনার উদারতকে দুর্বলতা ভাবলে ভুল করবে।
সংবিধান সম্মতভাবেই পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, নিরপেক্ষ এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশে দাবি করে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন নির্বাচন ও নির্বাচনী পরিবেশ বিনষ্টের জন্য বিএনপি প্রস্তুতি শুরু করেছে।
এর আগে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিআরটিসির কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
এসময় মন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে বলেন লকডাউনের পরে আবারও পরিবহনে যাত্রীদের চাপ বেড়েছে, এ অবস্থায় যাত্রী সাধারণের চলাচলে সুবিধার কথা বিবেচনায় নিয়ে ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে রাজধানীর উত্তরায় পুনরায় চক্রাকার বাস সেবা চালু করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলে দেওয়ার পর ধানমন্ডি এলকায় চক্রাকার বাস সেবা পুনরায় চালুরও প্রস্তুতি রয়েছে।
বিআরটিসির মত সেবা প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতি যাতে বাসা বাধতে না পারে সে দিকে কঠোর নজর দেওয়ার নির্দেশনা দিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, দুর্নীতির বিষয়ে শেখ হাসিনা সরকার জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করেছে, সুতরাং যে কোন মূল্যে বিআরটিসিকে সুনামের ধারায় ফিরিয়ে আনতে হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিগত সরকারের সময়ে বিআরটিসি ছিলো দুর্নীতির আখড়া।
মন্ত্রী দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়েও তদন্ত করতে পারেন, এতে সরকারের পক্ষ থেকে কোন বাধা দেওয়া হবে না, কোন দুর্নীতি থাকলে ব্যবস্থা নিন।
লোভ- লালসায় যারা বেপরোয়া তারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতি করে যাচ্ছে, তাই প্রত্যেক সেক্টরে সতর্ক থাকতে হবে, ওবায়দুল কাদের এনিয়ে প্রশ্ন রেখে বলেন জীবনকে উপভোগ করতে কতো টাকা, কতো সম্পদ দরকার?
মন্ত্রী বলেন মৃত্যুর পরে তো এ সম্পদ সাথে নিতে পারবেন না,তখন এসব সম্পদের কি হবে?
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: