আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক উপ-কমিটিতে হঠাৎ করেই হেলেনা জাহাঙ্গীরের পদ পাওয়া নিয়ে তুমুল আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়েছে। ‘চাকরিজীবী লীগ’নামে একটি সংগঠনের প্রচারণায় তুমুল বিতর্ক উঠলে তাকে দলের কেন্দ্রীয় ও জেলা কমিটির পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। এরপর র্যাব তার বাসায় অভিযান চালিয়ে হেলেনাকে আটক করে। এখন পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে তিনটি মামলা হয়েছে।
এর মধ্যে কুমিল্লা জেলা আওয়ামী লীগের পদটি তিনি স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে পেয়েছেন বলে আলোচনায় এসেছে। এর বাইরে কেন্দ্রীয় মহিলাবিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য পদ মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের সুপারিশে পেয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন দলের নেতারা।
হেলেনাকে দলে পদ পাইয়ে দেয়ার অভিযোগের বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, এইটা (সুপারিশে পদ পেয়েছেন) কেউ বললে আমি কী করতে পারি? আমি তাকে চিনি, ভালো জানি, তার সঙ্গে আমার খাতির আছে। সে সিআইপি, ৫-৬টা মিলের মালিক। তবে সে বেআইনি কিছু করলে আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে।
মন্ত্রী বলেন, তার মত তো বহু লোককেই তো আমি চিনি, জানি। এর মধ্যে ভালো আছে, খারাপও আছে। তাই বলে অন্যের কাজের দায় তো আমি নেব না। কেউ বেআইনি কিছু করলে আইনানুগ ব্যবস্থা হবে।
হেলেনা জাহাঙ্গীরের কর্মকাণ্ডে মন্ত্রী জড়িত নন দাবি করে বলেন, ‘তার (হেলেনা জাহাঙ্গীরের) আইপি টিভি বা কোনো কর্মকাণ্ডের সঙ্গেই আমি জড়িত নই। আর থাকবোই বা কেনো?’
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) রাত ১২টার দিকে গুলশানের ৩৬ নম্বর রোডের ৫ নম্বর বাসায় দীর্ঘ প্রায় চার ঘণ্টা অভিযান শেষে হেলেনা জাহাঙ্গীরকে আটক করে র্যাব।
এ সময় তার বাসা থেকে বিদেশি মদ, অবৈধ ওয়াকিটকি সেট, চাকু, বৈদেশিক মুদ্রা, ক্যাসিনো সরঞ্জাম ও হরিণের চামড়া উদ্ধার করা হয়। আটকের পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র্যাব সদর দফতরে নিয়ে যাওয়া হয়।
এছাড়া হেলেনা জাহাঙ্গীরের মালিকানাধীন আইপি টেলিভিশন জয়যাত্রার কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়।
শুক্রবার (৩০ জুলাই) হেলেনার বিরুদ্ধে রাজধানীর গুলশান থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। ওই মামলায় তাকে তিন দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। এছাড়া রাজধানীর পল্লবী থানায় আরেকটি মামলা করা হয়। এছাড়া শনিবার তার বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা দায়ের করা হয়।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: