জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের এমপি বলেছেন, স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরেও কারখানা শ্রমিকদের জীবন নিরাপদ হয়নি। প্রতিবছর কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে অসংখ্য শ্রমিকের জীবন যায়।
প্রতিটি দুর্ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন হয়। প্রতিবেদন আসে, তাতে কিছু সুপারিশও থাকে। কখনও জনগণ সেটা জানতে পারে, কখনও তা গোপনই থেকে যায়। তবে বাস্তবায়ন হয় না বললেই চলে। প্রায় ক্ষেত্রেই আইনের ফাঁক দিয়ে বের হয়ে যায় দোষীরা। তাই থামছে না অগ্নিকাণ্ড, থামছে না মৃত্যুর মিছিল।
রোববার এক বিবৃতিতে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।
জিএম কাদের বলেন, ফায়ার সার্ভিসের তথ্য অনুযায়ী গেল ১৫ বছরে অগ্নিদুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ৩১৭ জনের। আহত হয়েছেন ১২ হাজার ৩৭৪ জন। এর মধ্যে একটি বিশাল অংশই শ্রমিক শ্রেণির মানুষ। ২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর ইতিহাসের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে আশুলিয়ার তাজরীন ফ্যাশনস লিমিটেডের ১১৭ জন পোশাক শ্রমিক আগুনে পুড়ে মারা যায়, আহত হয় দুশর বেশি শ্রমিক। প্রতিটি দুর্ঘটনায় একমাত্র উপার্জনক্ষম মানুষের মৃত্যুতে মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি হয় দারিদ্র্যপীড়িত পরিবারগুলোতে।
তিনি আরও বলেন, বিল্ডিং কোড মেনে তৈরি হয় না ভবন, কারখানা তৈরিতে মানা হয় না সুনির্দিষ্ট নীতিমালা। অগ্নি প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি থাকে না কারখানায়। তদারকি নেই, আর দায়িত্বশীলদের জবাবদিহিতা নেই বললেই চলে। এ কারণেই কারখানায় আগুন লাগলে রেহাই মেলে না শ্রমিকদের। তাই অগ্নিকাণ্ড কমাতে এবং শ্রমিকদের জীবন বাঁচাতে সরকারকে এখনই কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: