বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, 'কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে ‘আমি মেজর জিয়া বলছি’ বলে স্বাধীনতা ঘোষণার ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়ে মানুষকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে উদ্দীপ্ত করেন। তবে জিয়ার সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব হচ্ছে তিনি বিভক্ত জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে পেরেছিলেন'।
শুক্রবার বিকেলে জিয়াউর রহমানের ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (জেটেব) আয়োজিত এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, 'একাত্তরের রণাঙ্গনে জিয়াউর রহমান শুধু একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না, তিনি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, একজন সেক্টর কমান্ডার ও জেড ফোর্সের প্রধান। একাত্তরের ২৬ মার্চের সূচনায় তিনিই প্রথম পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ‘উই রিভোল্ট’ বলে বিদ্রোহ এবং মুক্তিযুদ্ধ শুরুর ঘোষণা দেন'।
তিনি বলেন, 'শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সততার তুলনা হয় না। স্বজনপ্রীতি শব্দটা রাষ্ট্রপতি জিয়ার অভিধানে ছিল না। দুর্নীতি সংক্রান্ত কোনো কাজকে তিনি কখনো প্রশ্রয় দেননি। রাষ্ট্রপতির মতো এত বড় একটি পদে থেকেও তিনি অতি সাধারণ জীবনযাপন করতেন। তার কৃচ্ছ্রতা সাধন করার দৃষ্টান্ত বিরল। নিজের পরিবারের জন্য তিনি কিছুই করেননি। নিজের জন্য তো করেনইনি। আত্মীয়-স্বজনদের কেউ কোনো তদবিরের জন্য বঙ্গভবনে বা তার বাসভবনে সাক্ষাৎ করতে আসবেন, সেটা ছিল অকল্পনীয় ব্যাপার। তেমন সাহস কারও ছিল না। আত্মীয়-স্বজনদের কাউকে তিনি তার কাছে ঘেঁষতে দিতেন না'।
জেটেব সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার ফখরুল আলমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, বিএনপি যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দলের সভাপতি প্রফেসর ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, এ্যাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার রিয়াজুল ইসলাম রিজু, বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, অধ্যক্ষ শফিউল্লাহ শফি, জেটেব সেক্রেটারি ইঞ্জিনিয়ার এ বি এম রুহুল আমিন আকন্দ, ইঞ্জিনিয়ার সাখাওয়াত হোসেন প্রমুখ।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: