দেশ বিরোধী অপশক্তি দেশে-বিদেশে এখনও সক্রিয়- প্রধানমন্ত্রী

সময় ট্রিবিউন | ১৮ মার্চ ২০২১, ০৭:৫৫

ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে, বাংলাদেশবিরোধী অপশক্তি এখনও দেশে-বিদেশে সক্রিয় রয়েছে। তারা নানা অপতৎপরতার মাধ্যমে এ অর্জনকে নস্যাৎ করতে চায়। 

বুধবার (১৭ মার্চ) জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এই শুভ জন্মদিনে আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে সব অপতৎপরতাকে প্রতিহত করে প্রিয় মাতৃভূমিকে উন্নয়ন-অগ্রগতির পথ ধরে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাই।

তিনি বলেন, এখন শুধু আমাদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার পালা। পেছনে ফিরে তাকানোর কোনো সুযোগ নেই। সব বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে এ দেশকে আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শোষণ-বঞ্চনামুক্ত এবং ক্ষুধা-দারিদ্র্য-নিরক্ষরতামুক্ত অসাম্প্রদায়িক চেতনার সোনার বাংলাদেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করব, ইনশাল্লাহ। এটিই আজকের দিনে আমাদের প্রতিজ্ঞা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাঙালির অর্থনৈতিক-রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক মুক্তির লক্ষ্য নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ থেকে সংগ্রাম শুরু করেছিলেন। সেই সংগ্রামের পথ বেয়ে আমরা অর্জন করেছি স্বাধীনতা, স্বাধীন রাষ্ট্র ও স্বাধীন জাতির মর্যাদা। একটা যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ, তার ওপর শত শত বছরের পরাধীনতার গ্লানি। শোষণ-বঞ্চনা-ক্ষুধা-দারিদ্র্যপীড়িত মানুষের এক জনপদকে একটি পূর্ণাঙ্গ রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার মতো কঠিন দায়িত্ব পালন করেছিলেন। মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যে অসাধ্য সাধন করেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

তিনি বলেন, অনেক সংগ্রামের পথ বেয়ে আজ বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির প্রতীক্ষার প্রহর আজ অবসান হতে চলেছে। আজ এমন এক সময় আমরা জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করছি যখন বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে মর্যাদাশীল, উন্নয়নশীল দেশের কাতারে শামিল হওয়ার চূড়ান্ত সুপারিশ লাভ করেছে। আওয়ামী লীগ সরকারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা এবং জনগণের নিরলস পরিশ্রমের ফসল আজকের এ প্রাপ্তি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি বাংলাদেশের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি, তারা আমাকে তাদের সেবা করার সুযোগ দিয়েছেন। আজকের বাংলাদেশ যে অবস্থায় পৌঁছেছে সেখান থেকে সহজে অবনমন করা বা নামানো যাবে না। তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ আমরা এ করোনাভাইরাস মহামারির অভিজ্ঞতা সফলভাবে মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছি।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


জনপ্রিয় খবর