অনতিবিলম্বে হেফাজতে ইসলাম ও জামায়াতে ইসলামকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগ। এতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরোধিতা করতে গিয়ে হরতাল, সহিংসতা, পুলিশের ওপর আঘাত ও জাতীয় সম্পদ নষ্টের দায়ে ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করা এই দুটো সংগঠনের নিষিদ্ধের দাবি জানানো হয়।
শনিবার (৩ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে পাঁচ দফা দাবিতে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এসব দাবি জানানো হয়।
তাদের অন্য দাবিগুলো হচ্ছে— ভারতে পবিত্র কুরআন শরীফের আয়াতের বিরুদ্ধে করা রিটের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে জোরালো পদক্ষেপ নিতে হবে; করোনার নামে অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের পাঁয়তারা থেকে জনগণকে হেফাজত করতে হবে ও বিএনপির লকডাউনের ফাঁদে পা দেওয়া যাবে না; মসজিদে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক ও রোজা অবস্থায় টিকা জায়েজ এমন ফতেয়া অনতিবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে এবং মুজিব শতবর্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ১২ একর জায়গার ওপর ১৫০তলা মসজিদ তৈরি করতে হবে।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ইসলামের দৃষ্টিতে হরতাল করা হারাম। আর হারামকে হালাল মনে করে ইসলামী আন্দোলন বলে প্রচার করলে হেফাজতে ইসলাম, জামায়াতে ইসলাম মুরতাদ হয়ে যায়। শরীয়তের দৃষ্টিতে হেফাজতের মাওলানারা সবাই মুরতাদ হয়েছেন। প্রকাশ্যে তওবা না করা পর্যন্ত তাদের পেছনে নামাজ হবে না। এমনকি তারাবিসহ ঈদের নামাজ কোনোটাই হবে না। তারা মুসলমান বলে গণ্য হবেন না। গণমাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক অনন্য পর্যায়ে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের যথেষ্ট সুযোগ ও শক্তি রয়েছে ইসলামের ওপর আঘাতকারী ভারতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার।
মানববন্ধনে আওয়ামী ওলামা লীগের সভাপতি মাওলানা মুহম্মদ আখতার হুসাইন বুখারী, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মুহম্মদ আবুল হাসান শেখ, সম্মিলিত ইসলামী গবেষণা পরিষদের সভাপতি মাওলানা মুহম্মদ আব্দুস সাত্তার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: