সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের গ্রেফতার ইস্যুতে সাংবাদিক সমাজের প্রতি ধৈর্য ধারণ এবং দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল কাদের বলেন, যেহেতু মামলা হয়েছে এবং বিষয়টি বিচারাধীন। সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম নিরপরাধ হলে আদালতে তিনি ন্যায় বিচার পাবেন। তাই বিষয়টি নিয়ে জনমনে যাতে কোন অস্থিরতা এবং অসন্তোষ তৈরি না হয় সেজন্য সাংবাদিকদের প্রতি ধৈর্য ধারণ করার অনুরোধ জানান তিনি।
বুধবার সকালে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে শেখ হাসিনার ‘স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ৪ দশকে মানবতার আলোকবর্তিকা দেশরত্ন শেখ হাসিনা’ শীর্ষক আলোচনা সভা এবং ৪টি হাসপাতালে ৪টি হাই-ফ্লো নজেল ক্যানোলা ও ৪টি অটিস্টিক সংগঠনে শিক্ষা সহায়তা সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের গ্রেফতার নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বক্তব্য থেকে সচিবালয়ের ঘটনা তিনি জানতে পেরেছেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দেয়া বক্তব্যের সূত্র উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, সংশ্লিষ্ট রিপোর্টার মন্ত্রণালয়ের সচিবের একান্ত সচিবের অনুপস্থিতিতে তার কক্ষে প্রবেশ করে গুরুত্বপূর্ণ নথি লুকিয়ে ফেলে এবং মোবাইলে ছবি তোলে।
তিনি বলেন, অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট ১৯২৩ অনুযায়ী এ ধরণের গোপনীয় বিষয় প্রকাশযোগ্য নয়। সাংবাদিকদের তথ্য সংগ্রহের জন্য তথ্য অধিকার আইন রয়েছে। তবে এভাবে লুকিয়ে তথ্য সংগ্রহের প্রয়োজন ছিল না।
তিনি বলেন, ঘটনার দিন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল কেউ সাংবাদিকদের ব্রিফ করলে এমন ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি নাও হতে পারতো।
ঘটনা তদন্তের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একটি তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে - একথা উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকের উপর কোন অন্যায় আচরণ করা হলে যথাযথ ব্যবস্থা নেবার কথা বলেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
তিনি দাবি করেন, শেখ হাসিনার সরকার মত প্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে এবং দেশের গণমাধ্যমের প্রতি কোন চাপ নেই।
তিনি বলেন, দেশের সংবাদমাধ্যম প্রতিনিয়ত দুর্নীতি এবং অপরাধের নানা খবর প্রকাশ করছে। যারা বলছেন দুর্নীতি সংবাদ প্রকাশ করার জন্য সরকার দমন-পীড়ন চালাচ্ছে, এ বক্তব্য আদৌ সত্য নয়।
সোমবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামকে পাঁচ ঘণ্টার বেশি সময় আটকে রাখা হয়। পরে রাতে অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টে মামলা হয়। সেই মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে মঙ্গলবার রোজিনা ইসলামকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে নেওয়া হয়। শুনানি শেষে আদালত রিমান্ড আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আগামীকাল বৃহস্পতিবার তার জামিনের শুনানি হতে পারে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: