দলের ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বিএনপির সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তিনি জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। এছাড়া বিএনপি সমর্থিত সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক ছিলেন।
আজ মঙ্গলবার (২১ মার্চ) দুপুরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক মো. তাইফুল ইসলাম টিপুর পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বহিষ্কারের তথ্য জানানো হয়। ২০১৬ সাল থেকে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন শওকত মাহমুদ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজে লিপ্ত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক বিএনপি'র ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি'র প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
শওকত মাহমুদ বলেন, এটি দুঃখজনক। এবিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৬ এপ্রিল দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ এনে শওকত মাহমুদকে একবার কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। ওই বছরের ২৭ মার্চ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে 'পেশাজীবী সমাজ' ব্যানারে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির প্রতিবাদে এক সমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব স্বাক্ষরে শওকত মাহমুদকে নোটিশটি দেওয়া হয়।
এর আগে ২০১৯ সালে ১৩ ডিসেম্বর দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে শওকত মাহমুদকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। তখন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে একটি সমাবেশকে কেন্দ্র করে তাকে এবং আরেক ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমেদকে ওই নোটিশ দেয়া হয়। তবে তারা শোকজের জবাব দেওয়ার পর তা সুরাহা হয়ে গিয়েছিল।
শওকত মাহমুদ বিএনপির পঞ্চম জাতীয় কাউন্সিলে বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা হিসেবে মনোনীত হন। পরে ৬ষ্ঠ কাউন্সিলে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মনোনীত হয়েছেন। এছাড়া কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা বিএনপির আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: