রোদ বৃষ্টি উপেক্ষা করে জেলার ৬৮টি ইউনিয়নের মধ্যে ৫৯টি ইউপিতে নৌকা প্রতিকের প্রার্থীকে জয়ী করার পিছনে ৯৫ ভাগ অবদান যার তার নাম কাজী আলমগীর। শুধু ইউপি চেয়ারম্যানই নয়। বড় বড় চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে পৌরসভার মেয়র, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যানও নির্বাচিত করেছেন তিনি। এরকম প্রায় আট শতাধিক ভোটারগণ অধির আগ্রহে আছেন তাদের সেই প্রতিদানের উপহার দেয়ার অপেক্ষায়। অনেক জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন ফরম আনুষ্ঠানিকভাবে জমা দিয়েছেন পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আলমগীর হোসেন।
গতকাল বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নির্বাচন বোর্ডে কাজী আলমগীর দলীয় ফরম জমা দেন।
জেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষনার পরপরই পটুয়াখালীতে বেশ জোরালো আলোচনায় উঠে আসে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির নাম। কিন্তু কেউ নিশ্চিত ছিলনা যে তিনি আদৌ মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করবেন কি করবেন না। কারণ আগামী এক বছর পরই জাতীয় সংসদ নির্বাচন। জেলা আওয়ামী লীগের অনেক সিনিয়র নেতৃবৃন্দরাই মনে করেছিলেন যে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ থেকে বিরত থাকতে পারেন। এ নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে গোটা জেলায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিনত হয়েছিল। অবশেষে গতকাল বুধবার সেই বিষয়টি সকলের কাছে পরিস্কার হলো। সংসদ সদস্য, উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ জেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের একঝাক সিনিয়র নেতৃবৃন্দদের সাথে নিয়ে উৎসব মূখর পরিবেশে মনোনয়ন ফরম জমা দেন কাজী আলমগীর।
মূলত গতকাল দুপুরের পর থেকেই গোটা জেলায় আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে পরিনত হয়েছে এ বিষয়টি। ধারণা করা হচ্ছে মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে সাংগঠনিকভাবে সিদ্বান্ত নিয়েই কাজী আলমগীর দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন, এমন মন্তব্যও করেছেন অনেকে।
গলাচিপা উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহিন শাহ জানান, আমার দৃষ্টিতে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসাবে কাজী আলমগীর সফল। কারণ জেলা শহর থেকে একদম তৃনমূল অর্থাৎ রুট লেবেল পর্যন্ত তার পদচারণা রয়েছে। বিগত ইউপি নির্বাচনে সে যে পরিমান পরিশ্রম করে নৌকার প্রার্থীদেরকে জয়ী করেছেন আমার মনে হয় পটুয়াখালীতে গত ত্রিশ চল্লিশ বছরে কোন সভাপতি এরকম কষ্ট করেনি। তাই আমরা সবাই মিলে কাজী আলমগীর চাচাকে নিয়ে দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছি। আমি আশা করি, নির্বাচন বোর্ড এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের বিমুখ করবেন না।
জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ গাজী হাফিজুর রহমান শবীর জানান, বিগত কয়েকটি ধাপে জেলার ৬৮ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে ৫৯টি ইউপিতে নৌকা মার্কার প্রার্থী বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছে। এই জয়ের পিছনে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতির অবদান তুলনাবিহীন। আমার দৃঢ় বিশ্বাস এই ৫৯জন ইউপি চেয়ারম্যান এবং আমাদের দলীয় জয়ী মেম্বারগনসহ পৌরসভার মেয়র, কাউন্সিলরগনরা সঠিক মূল্যয়ন করে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতিকে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত করবে।
কুয়াকাটা পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি আবদুল বারেক মোল্লা জানান, আজ আমরা জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতিকে নিয়ে দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছি। আশা করি দল তাকে মূল্যয়ন করবে। কারণ কলাপাড়া উপজেলার প্রতিটি নৌকার প্রার্থীসহ বিজয়ী ইউপি সদস্যগনরা তাকে ভোট দিয়ে জয়ী করার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।
মনোনয়ন ফরম জমা দেয়ার সময় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির সাথে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসনের সংসদ সদস্য এস এম শাহজাদা, জেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ভিপি আব্দুল মান্নান, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট উজ্জ্বল বসু, কোষাধ্যক্ষ গাজী হাফিজুর রহমান সবির, গলাচিপা উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহিন শাহ, দশমিনা সদর চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান লিটন, কুয়াকাটা পৌরসভা মেয়র মোঃ আনোয়ার হোসেন, পটুয়াখালী চেম্বারের সভাপতি মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন।
এছাড়াও জেলা আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক খাইরুল ইসলাম খায়ের, ক্রীড়া সম্পাদক সাইফুল ইসলাম কচি, উপ-প্রচার সম্পাদক জিএম জাফর কিরণ, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মিজানুর রহমান মিজান, সদস্য এ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ওবায়দুল, সদস্য মিজানুর রহমান মনির খান, সদস্য মোঃ জুবাইদুল হক রাসেল, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ শাহজালাল, পৌর আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার জামাল হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন, জেলা শ্রমিক লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি খলিলুর রহমান, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মোঃ ইব্রাহিম এবং কুয়াকাটা পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল বারেক মোল্লা।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: