ভোলা সদর থানার ওসি (তদন্ত) আরমান হোসেনকে প্রধান আসামি করে ৩৬ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। নিহত স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আব্দুর রহিমের স্ত্রী খাদিজা বেগম বাদী হয়ে ভোলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে হত্যা মামলাটি দাখিল করেন।
এরই প্রেক্ষিতে হত্যার ঘটনা নিয়ে থানায় রক্ষিত মৃত্যু সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যাদি আগামী ৮ই সেপ্টেম্বর এর মধ্যে আদালতে প্রেরণের নির্দেশ দেন ভোলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হায়দার কামাল। আগামী ৮ই সেপ্টেম্বর অধিকতর শুনানি শেষে মামলার বাকি আদেশ দিবেন বলে আদালত সূত্রে জানা যায়।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে, গ্যাস, বিদ্যুতসহ নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি এবং বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে ৩১শে জুলাই বেলা ১১টায় ভোলা জেলা বিএনপি প্রতিবাদ সমাবেশ এবং বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করে। শহরের কালীনাথ রায়ের বাজার এলাকায় জেলা বিএনপি কার্যালয়ে সমাবেশ শেষে মিছিল করতে রাস্তায় নামেন দলীয় নেতাকর্মীরা। এসময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে তাদের। এক পর্যায়ে পুলিশ ৩০ রাউন্ড টিয়ার শেল ও ১৬৫ রাউন্ড শটগানের গুলি ছোড়ে। এতে অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। আহতদের ভোলা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে নিহত হন দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের কোড়ালিয়া গ্রামের হারেছ মাতব্বরের ছেলে স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা আব্দুর রহিম।
এদিকে ভোলা ছাত্রদল সভাপতির লাশবাহী গাড়ি ভোলার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছে। রাত ৯টায় শহরের চরনেওয়াবাদ আলতাজের রহমান কলেজের মাঠে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে বলে নিশ্চিত করেছে ভোলা জেলা বিএনপি।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: