আমরা যখন স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী, মুজিব শতবর্ষ পালন করছি, তখন ২৬ থেকে ২৮ মার্চ সারাদেশে হেফাজতের ব্যানারে তাণ্ডব চালানো হলেও এতে অংশগ্রহণ ছিল বিএনপি-জামাতের বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বুধবার (৫ মে) সকালে ২৩, বঙ্গবন্ধু এভিনিউ আওয়ামী লীগ কার্যালয় প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ কৃষক লীগের উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র পক্ষ থেকে অসহায় দুঃস্থ কৃষকদের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ কার্যক্রম অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে মাঝে মধ্যে তারা দেখা করেন। কিন্তু দেখা-সাক্ষাতের কারণে দুস্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ ব্যাহত হবে না, কারণ দুস্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আমরা বদ্ধপরিকর।
আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণসম্পাদক বলেন, ‘সমস্ত ষড়যন্ত্র, সমস্ত প্রতিকূলতা, প্রতিবন্ধকতা আমাদেরকেই উপড়ে ফেলতে হবে, আমরা কারো ওপর ভরসা করবো না । আমরা যখন বিরোধী দলে ছিলাম, বুকে পাথর বেঁধে লড়াই-সংগ্রাম করেছি এবং সমস্ত প্রতিবন্ধকতা উপড়ে ফেলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ৯৬ সালে সরকার গঠন করেছিল। তাই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বলবো, আজকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকার কারণে যেন আমাদের আলস্যতায় পেয়ে না বসে।
দৈব-দুর্বিপাকের মধ্যেও মিজানুর রহমান মিনু রাজশাহীতে বক্তৃতা দেয়, ডা. জাফরুল্লাহ ঢাকায় বক্তৃতা দেয় এবং বিভিন্নজন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখে, লন্ডন থেকে লেখানো হয়। তাই এসব ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আমাদেরকে সজাগ থাকতে হবে, ভ্যানগার্ড হিসেবে কাজ করতে হবে, কারণ ষড়যন্ত্র থেমে নেই।
বিএনপির সমালোচনা করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ, হাসপাতালে আছেন, তিনি দ্রুত আরোগ্য লাভ করুন। মহান স্রষ্টার কাছে আমি প্রার্থনা করি, তিনি দ্রুত আরোগ্য লাভ করে সহসা ঘরে ফিরে যান। আদালতে তার জামিন না হওয়া সত্ত্বেও আমাদের নেত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে সংবিধানে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে করোনা মহামারির শুরুতেই তাকে প্রশাসনিক ক্ষমতা বলে তাকে মুক্তি দিয়েছেন এবং সেটি দুই দফা বর্ধিত করা হয়েছে। কিন্তু তার এই অসুস্থতার অজুহাতকে সামনে এনে বিদেশ নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হচ্ছে। করোনার চিকিৎসা তো আমাদের দেশে যা, ইংল্যান্ডেও তা, সিঙ্গাপুরেও তা, ইউরোপেও তা। সুতরাং এই ধরণের দাবি আসলে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত।
কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মতিয়া চৌধুরী বলেন, দেশ ও দেশের মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিবারাত্রি নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। অন্যদিকে বিএনপি’র রাজনীতি শুধু বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে। তাদের কথায় মনে হয়, দেশের জনগণের চিকিৎসার কোনো দরকার নাই, খাদ্যের কোনো দরকার নাই। এটা কি ধরণের দৃষ্টিভঙ্গি, তা আজও আমাদের বোধগম্য হয় না।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী কৃষকরত্ন শেখ হাসিনা’র নির্দেশ বাস্তবায়নে কৃষক লীগ অত্যন্ত আন্তরিক। প্রধানমন্ত্রী কৃষক লীগের আন্তরিকতায় সন্তুষ্ট। করোনা মহামারিতে কৃষক লীগ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যেভাবে কৃষকের পাশে দাঁড়িয়েছে তা সকলের জন্য অনুকরণীয় হতে পারে। অন্যেরা শুধু বিরোধিতার কারণে বিরোধিতা করে, আওয়ামী লীগের ভুল ধরে- কিন্তু নিজেরা কোন কাজ করে না। শুধু মিডিয়া ও সামাজিক মাধ্যমে কথা বলে। কৃষিবিদ সমীর চন্দ ও এ্যাড. উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপি’র নেতৃত্বে বাংলাদেশ কৃষক লীগ বিস্ময়করভাবে কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।
কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপি’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি। এসময় অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ কৃষক লীগের সহ-সভাপতি শেখ মো. জাহাঙ্গীর আলম, হোসনে আরা বেগম এমপি, কৃষিবিদ ড. নজরুল ইসলাম, কৃষিবিদ শাখাওয়াত হোসেন সুইট, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ বিশ্বনাথ সরকার বিটু, এ্যাড. শামীমা সাহরিয়ার এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. গাজী জসিম উদ্দিন, আসাদুজ্জামান বিপ্লব, কৃষিবিদ ড. হাবিবুর রহমান মোল্লা, সৈয়দ সাগিরুজ্জামান শাকীক, হিজবুল বাহার রানা, অর্থ সম্পাদক আলহাজÍ নাজির মিয়া, দপ্তর সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: