সরকারের ঘোষিত নিয়ম ভেঙে পদ্মা সেতুতে দাঁড়িয়ে ছবি তোলায় অভিযুক্তদের খাতায় এবার নাম লেখালেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান।
ঈদ উপলক্ষে গ্রামের বাড়ি বরিশালে যাওয়ার পথে গাড়ি থামিয়ে পদ্মা সেতুতে নেমে নিজের কিছু অনুসারীর সঙ্গে সেলফি তুলেছেন তিনি৷ তবে ছাত্রলীগ সভাপতির ঘনিষ্ঠ এক কেন্দ্রীয় নেতার দাবি, কর্তৃপক্ষের 'অনুমতি' নিয়েই তাঁরা ছবি তুলেছেন।
পদ্মা সেতু উদ্বোধন করা হয় গত ২৫ জুন৷ এর আগে ২৩ জুন একটি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ জানায়, পদ্মা সেতুতে যানবাহন দাঁড় করানো, সেতুর ওপর হাঁটাচলা করা বা ছবি তোলা যাবে না৷ তবে সেতুর উদ্বোধনের পরই অনেক মানুষ সেতুর ওপর উঠে ছবি ও ভিডিও করতে থাকলে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়৷ এমন প্রেক্ষাপটে ২৬ জুন আরেক বিজ্ঞপ্তিতে আগের গণবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা নিয়মকানুনগুলো স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়।
আজ শনিবার দুপুরে গাড়িতে করে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার পথে পদ্মা সেতুতে নেমে অনুসারীদের নিয়ে সেলফি তোলেন তিনি৷ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সভাপতির অনুসারীদের শেয়ার করা সেলফিতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি রাকিব হোসেন ও তিলোত্তমা শিকদার, ত্রাণ ও দুর্যোগবিষয়ক সম্পাদক ইমরান জমাদ্দার, সাহিত্যবিষয়ক উপসম্পাদক এস এম রিয়াদ হাসানসহ বেশ কয়েকজনকে দেখা গেছে৷ ছাত্রলীগ সভাপতিসহ তাঁদের সবারই গ্রামের বাড়ি বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন জেলায়৷ নিয়ম ভাঙলেও তাঁদের কোনো জরিমানা গুনতে হয়নি।
পদ্মা সেতুর ওপর সেলফিতে ছাত্রলীগের সভাপতির সঙ্গে থাকা সহসভাপতি রাকিব হোসেন সময় ট্রিবিউনকে বলেন, 'প্রথমবারের মতো পদ্মা সেতু পার হলাম৷ আমাদের অনুভূতিটাই ছিল অন্য রকম! মূলত এ কারণেই ছবি তোলা হয়েছে৷ তবে সরকারঘোষিত বিধিনিষেধ আমাদের জানা ও মানা উচিত ছিল৷ কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়েই আমরা সেতুতে দাঁড়িয়ে ছবি তুলেছি।'
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: