বিএনপির জনগণের সামনে দাঁড়ানোর সাহস এবং বলার মতো কিছুই নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) তার বাসভবনে ব্রিফিংকালে তিনি একথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনে জনগণ থেকে প্রত্যাখ্যান আর আন্দোলনে চরম ব্যর্থতাই বিএনপির একমাত্র প্রাপ্তি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, যাদের পায়ের নিচে থেকে মাটি সরে যাচ্ছে, তারা আবার সরকার পতনের দিবা স্বপ্ন দেখছে। তারা ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নেয়নি।
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, সরকার পতন, আন্দোলন - এসব মুখরোচক শব্দ বৃষ্টি করে কোনো লাভ নেই। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ব্যালটের মাধ্যম আর নির্বাচন ছাড়া পরিবর্তনের কোনো বিকল্প নেই।
এ সময় অলিগলি পথে না হেঁটে নির্বাচনমুখী হওয়ার জন্য বিএনপি নেতাদের আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের।
সরকার স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে, মানুষের অধিকার হরণ করেছে- বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি নেতারা যখন এসব কথা বলেন তখনও স্বাধীনতাবিরোধী উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী তাদের বগলদাবায়।
তিনি আরও বলেন, দেশবিরোধী সকল অপশক্তির অভিন্ন প্লাটফর্ম হচ্ছে বিএনপি। যারা নিজেরাই স্বাধীনতার চেতনা নস্যাতে জন্মলগ্ন থেকেই অপতৎপরতা চালাচ্ছে। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে দেশের স্বাধীনতা এসেছে, আওয়ামী লীগই এর সুরক্ষা দিতে পারে জনগণকে সাথে নিয়ে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি এদেশে ভোটারবিহীন নির্বাচন করে মানুষের ভোটাধিকার হরণ করেছিল, হরণ করেছিল কৃষক শ্রমিকের অধিকার। ভোট না দেওয়ার অভিযোগে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর নির্যাতন চালিয়েছিল, আগুন সন্ত্রাসের মাধ্যমে মানুষের স্বাধীন চলাচলের অধিকার হরণ করেছিল।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছে, এগিয়ে নিয়েছেন দেশকে উন্নয়নের মহাসড়কে। এজন্যই সরকারের উন্নয়নের রাজনীতিতে বিএনপি ঈর্ষাকাতর। বিএনপি নিজেদের অন্ধকার ভবিষ্যৎ দেখে হতাশায় কাতর। জনগণের সামনে দাঁড়ানোর সাহস এবং বলার মতো কিছুই নেই বিএনপির। তাইতো বিএনপি মিথ্যাচারের সঙ্গী ও অপপ্রচারের বন্ধু হয়েছেন এবং জোট বেঁধেছেন অপরাজনীতির সাথে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: