গ্রীষ্মকালীন ফল তরমুজের দামে কয়েক দিন ধরে ক্রেতাদের মধ্যে চরম অসন্তোষ দেখা দেয়। ক্রেতাদের অভিযোগ, সিন্ডিকেটের মাধ্যমে অন্যান্য বছরের চেয়ে দ্বিগুণ দামে এ বছর তরমুজ বিক্রি করা হচ্ছে। আগে প্রতিবছর প্রতি পিচ হিসাবে তরমুজের দাম নির্ধারণ করা হতো। এ বছর সিন্ডিকেট করে তরমুজ কেজি দরে বিক্রি করে কৌশলে দাম দ্বিগুণ করা হয়েছে।
ক্রেতাদের এমন অভিযোগের পর আজ মঙ্গলবার ঢাকার কেরানীগঞ্জের বাজারগুলোতে তরমুজ কেজি দরে বিক্রির অভিযোগে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার ভূমি কামরুল হাসান সোহেল এর নেতৃত্বে ও কেরানীগঞ্জ মডেল থানা পুলিশের সহায়তায় এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়।
এ সময় উপজেলার রোহিতপুর রামেরকান্দসহ বিভিন্ন হাটবাজারে অভিযান চালিয়ে প্রাথমিক ভাবে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে দেওয়া হয় এবং বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী ও তরমুজের ওজন মাপার যন্ত্র জব্দ করা হয়। পরবর্তীতে এভাবেও ওজন মেপে তরমুজ বিক্রি করবে না এই মর্মে মুচলেকা দিয়ে আটককৃত পণ্য সামগ্রী ফেরত দেওয়া হয়।
এ প্রসঙ্গে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, আজ প্রথম দিন হিসেবে কাউকে জরিমানা করা হয়নি। আমরা নজর রাখছি, ভবিষ্যতে কেউ ওজনে এবং বেশি দামে তরমুজ বিক্রি করলে তাকে জেল জরিমানার আওতায় আনা হবে। সারা দেশের ন্যায় কেরানীগঞ্জেও তরমুজের সিন্ডিকেট ভেঙে দেয়া হবে। কেরানীগঞ্জে একজন ব্যাবসায়ীও ওজনে তরমুজ বিক্রি করতে পারবেনা। জনকল্যাণমূলক কাজে আমাদের এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: