বাংলাদেশ ও ভারত সম্পর্ক কাজের প্রয়োজনে চুক্তিতে সীমাবদ্ধ নয়: প্রধানমন্ত্রী

সময় ট্রিবিউন | ৭ ডিসেম্বর ২০২১, ০৮:৩১

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা-ফাইল ছবি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক কাজের প্রয়োজনে আনুষ্ঠানিক চুক্তিতে সীমাবদ্ধ নয়, তা সার্বভৌমত্ব, সমতা, আস্থা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধায় বিস্তৃত।

৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশকে ভারতের স্বীকৃতি দেওয়ার বার্ষিকী ‘মৈত্রী দিবসে’ সোমবার ধারণ করা এক ভিডিও বার্তায় একথা বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, “বাংলাদেশ ও ভারত কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করছে। এটি আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের যাত্রায় মাইলফলক। ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর ভারত বাংলাদেশকে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।”

প্রধানমন্ত্রী জানান, ২০২১ সালের ২৬-২৭ মার্চ বাংলাদেশে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকা ও নয়া দিল্লিসহ ১৮টি নির্বাচিত শহরে যৌথভাবে এ সম্পর্কের উদযাপন ও ৬ ডিসেম্বরকে ‘মৈত্রী দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে সম্মত হন দুই নেতা।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদনের পাশাপাশি মহান মুক্তিযুদ্ধের ত্রিশ লাখ শহীদ ও দুই লাখ নির্যাতিত মা-বোনের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করেন বঙ্গবন্ধু কন্যা।

মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য ও দেশটির জনগণের আত্মত্যাগের কথাও গভীর কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।

বঙ্গবন্ধুর ১৯৭২ সালের ভাষণ উদ্ধৃত করে শেখ হাসিনা বলেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে, যা সবচেয়ে বন্ধুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ ও ভারতের বন্ধুত্ব আমাদের হৃদয়ে। মৈত্রীর এ বন্ধন সুদৃঢ় ও দীর্ঘস্থায়ী হবে।


মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের জনগণের প্রতি ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী, তার সরকার, অন্য রাজনৈতিক দলের নেতাদের ও সামগ্রিকভাবে ভারতের জনগণের উদারতার কথা স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।

১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে আটক হওয়ার ঠিক আগে আগে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এরপর শুরু হয় প্রবাসী সরকারের নেতৃত্বে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ।

ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী এই যুদ্ধে সরাসরি জড়িয়ে পড়ে। মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় বাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত মিত্রবাহিনীর কাছে ১৬ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণ করে পাকিস্তান সেনাবাহিনী। ওই যুদ্ধে ১ হাজার ১৬১ ভারতীয় সেনা শহীদ হয়েছিলেন।

মুক্তিযুদ্ধের সময় এক কোটির বেশি শরণার্থী সীমান্তবর্তী ভারতের রাজ্যগুলোতে আশ্রয় নিয়েছিল; মুক্তিবাহিনীর গেরিলাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও হয়েছিল ওইসব এলাকায়।

মুক্তিযুদ্ধে চূড়ান্ত বিজয়ের আগেই ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশকে স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ হিসেবে কূটনৈতিক স্বীকৃতি দিয়েছিল প্রতিবেশী ভারত।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের এককোটি উদ্বাস্তুর আবাসনের ব্যবস্থা করে তারা মুজিবনগর সরকারের জন্য জায়গা দেন এবং বাংলাদেশের পক্ষে বিশ্ব দরবারে কূটনৈতিক প্রচারণাও চালান।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


  1. জামায়াত নেতা আজহারুলের মুক্তির দাবিতে শেরপুরে বিক্ষোভ সমাবেশ
    জামায়াত নেতা আজহারুলের মুক্তির দাবিতে শেরপুরে বিক্ষোভ সমাবেশ
  1. শেরপুরে হরতাল পালন ও রাস্তায় অগ্নিসংযোগ করেছে ছাত্রলীগ
    শেরপুরে হরতাল পালন ও রাস্তায় অগ্নিসংযোগ করেছে ছাত্রলীগ
  1. শেরপুরে বিএনপি নেতা মাসুদের বিরুদ্ধে প্রকাশিত মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদের প্রতিবাদ
    শেরপুরে বিএনপি নেতা মাসুদের বিরুদ্ধে প্রকাশিত মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদের প্রতিবাদ
  1. শেরপুরে সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে প্রেসক্লাবের স্মারকলিপি প্রদান
    শেরপুরে সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে প্রেসক্লাবের স্মারকলিপি প্রদান
  1. শেখ হাসিনার আসন্ন 'ভার্চুয়াল বৈঠক' ঘিরে আওয়ামী লীগে কী চলছে
    শেখ হাসিনার আসন্ন 'ভার্চুয়াল বৈঠক' ঘিরে আওয়ামী লীগে কী চলছে
  1. শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে হত্যা মামলার আসামি ইউপি চেয়ারম্যানসহ গ্রেফতার ২
    শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে হত্যা মামলার আসামি ইউপি চেয়ারম্যানসহ গ্রেফতার ২
  1. মার্চ ফর ইউনিটি : শহীদ মিনারে সমাবেশ শুরু
    মার্চ ফর ইউনিটি : শহীদ মিনারে সমাবেশ শুরু
  1. ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিএনপি নেতা মাসুদ
    ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিএনপি নেতা মাসুদ
  1. শেরপুরে বাণিজ্যিকভাবে শুরু হয়েছে কফি চাষ
    শেরপুরে বাণিজ্যিকভাবে শুরু হয়েছে কফি চাষ
  1. সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার মারা গেছেন
    সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার মারা গেছেন
জনপ্রিয় খবর